শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

৬ জনকে খুন! ৩০ বছর বৌদ্ধ ভিক্ষুকের বেশে কাটিয়েও শেষরক্ষা হল না

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৯:০৬ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০৩:০৬ এএম

৬ জনকে খুন! ৩০ বছর বৌদ্ধ ভিক্ষুকের বেশে কাটিয়েও শেষরক্ষা হল না
৬ জনকে খুন! ৩০ বছর বৌদ্ধ ভিক্ষুকের বেশে কাটিয়েও শেষরক্ষা হল না

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক-দু বছর নয়, ৩০ বছর ধরে পলাতক ছিল। একই পরিবারের ৬ জনকে খুনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ৩০ বছর ধরে বৌদ্ধ ভিক্ষুকের বেশে কাটাচ্ছিল সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আসলে অপরাধ চাপা থাকে না চিরদিন, না গোপন করা যায়। অপরাধের পরে ৩০ বছর কেটে গেলেও, অবশেষে ধরা পড়তেই হল। তিন দশক পরে শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই অপরাধী। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ রাম সেবক নামের ওই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। অনেকেই এই ঘটনায় চমকে গিয়েছেন। কী করে এতো বছর ওই ব্যক্তি আত্মগোপন করে থাকল, সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

ঠিক কী ঘটেছিল? ১৯৯১ সালে আগ্রার লখনপুরে একই পরিবারের ৬ জনকে খুন করেছিল তিন ব্যক্তি। নয়ের দশকের সেই ঘটনায় সেই সময় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। প্রেমঘটিত কোনও কারণের জন্যই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল ওই তিনজন। এমনটাই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল।

একই পরিবারের ৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করার অপরাধে তিনজনকেই ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে, এরপর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয় তিন অপরাধীর। রাম সেবক ও কিশোরী লাল নামের দুই অপরাধী এর পর সুযোগ বুঝে গা ঢাকা দেয়। সেই থেকে তাদের পুলিশ খুঁজছিল।

রাম সেবককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৯৯১ সালের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর রাম সেবক নামের ওই অপরাধী দিল্লি পালিয়ে বৌদ্ধ মঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে সে ভিক্ষুকের বেশ ধারণ করে। এরপর কেটে যায় ৩০ টা বছর। এতদিন ভিক্ষুকের বেশেই আত্মগোপন করেছিল সে। তবে, শেষরক্ষা হল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পুলিশ। একটি বাস স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় রাম সেবক রয়েছে বলে খবর যায় পুলিশের কাছে। শেষমেশ অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে, এই বিষয়ে পুলিশ অফিসার অশোকা মীনা জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত ১৯৯১ সালের এক গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। কিন্তু সে পালিয়ে গিয়ে একটি বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নিয়েছিল নিজের নাম ও পরিচয় লুকিয়ে।’ স্বাভাবিকভাবেই এতদিন পরে ওই অপরাধীকে ধরতে পেরে সন্তুষ্ট পুলিশ। রাম সেবকের গ্রেফতারিকে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে তারা।