বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক পরিযায়ী শ্রমিকের। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই পরিযায়ী শ্রমিক। স্বাধীনতা দিবসের আগে এমনিতেই দেশব্যাপী জঙ্গি হামলার সতর্কতা জারি করেছে আইবি। এর ঠিক পরেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল সাধারণ নিরীহ মানুষের।
এই ঘটনার পর কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, ‘পুলওয়ামার গাড়ুরায় জঙ্গিরা পরিযায়ী শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে। হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন আরও দু’জন।’ জানা গিয়েছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম মহম্মদ মুমতাজ। তিনি বিহারের সাকোয়া পারসা এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে, আহত দুই ব্যক্তি রামপুরের বাসিন্দা। তাঁদের নাম মহম্মদ আরিফ এবং মহম্মদ মজবুল। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। পুলিশের পক্ষ থেকেও এই হামলা কোন গোষ্ঠী চালিয়েছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা। তিনি বলেছেন যে, ‘শ্রমিকদের উপরে জঙ্গি হামলায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। মৃত শ্রমিকের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক, এই কামনা করি। সকল মানুষকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে বারবার জঙ্গিরা নিশানা করেছে পরিযায়ী শ্রমিক, সরকারি কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। সম্প্রতি একাধিকবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে অনেক কাশ্মীরি পণ্ডিত জম্মুতে ফিরে এসেছেন। এদিকে, সামনেই রয়েছে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ। দেশ জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গি আক্রমণের সম্ভবনার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছে আইবি বা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। আইবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, স্বাধীনতার দিবসের আগেই একযোগে জঙ্গি হামলা চালাতে পারে লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি। আইবি-র পক্ষ থেকে একটি ১০ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, জইশ, লস্কর জঙ্গি সংগঠনগুলি স্বাধীনতা দিবসের আগেই জঙ্গি হামলা চালাতে পারে।
ওই রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই হামলায় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই জঙ্গি হামলায় মদত দিচ্ছে। সেখানেই শেষ নয়, রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, এই হামলায় বড় বড় নেতাদের টার্গেট করতে বলা হয়েছে লস্কর এবং জইশ জঙ্গিদের। এমনকি হামলার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রের জোগানও দিচ্ছে পাক সংস্থা। এমনটাই অনুমান করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দিল্লির পাশাপাশি, কাশ্মীরেও হামলা চালানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আইবি-র সেই সতর্কতা যে কতোটা সত্যি, বাস্তবেও তার প্রমাণ মিলল এই হামলার ঘটনায়।
আপনার মতামত লিখুন :