বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক ছিল জেহাদিদের। কিন্তু সেই ছক শেষপর্যন্ত ভেস্তে গেল। জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গি। এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ডোরু এলাকায় জঙ্গিদের একটি গোপন ডেরার সন্ধান পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরেই দ্রুত অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়। জেহাদিরা যাতে কোনোভাবেই আগাম খবর পেয়ে, এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে সেই জন্য দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, আধাসেনা এবং পুলিশের একটি যৌথবাহিনী।
কিন্তু এর মাঝেই নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে সেখানে লুকিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা। ওই সংঘর্ষে দুই লস্কর জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত দুই জঙ্গির নাম আরিফ হুসেন ভাট ও সুহেল আহমেদ লোন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭ রাইফেল-সহ প্রচুর পরিমাণে হাতিয়ার।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে, নিহত জঙ্গিরা জুনের ৩০ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক কষছিল। এপ্রিলের ১৬ তারিখ ওয়াটনাড় এলাকায় হওয়া এনকাউন্টারে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল নিহত ওই জঙ্গিরা। সেবারের সংঘর্ষে নিশান সিং নামে এক সেনা অফিসার শহিদ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের অভিযানের আগে গত শুক্রবারই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ছিল হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ আশরফ খান। সেদিনও ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, উপত্যকায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর সেনা এবং পুলিশ। চলতি বছরের এপ্রিলে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীরে নিকেশ হয় লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার ইউসুফ কান্তারো-সহ দুই জঙ্গি। সেনা অভিযান অব্যাহত। তাও কাশ্মীরে জঙ্গি উপদ্রব লেগেই রয়েছে। এবার কাশ্মীর উপত্যকায় নতুন করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে জঙ্গিরা মূলত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের নিশানা বানাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :