বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আধার কার্ড দেখে, পরিচয় জেনেই লক্ষ্য স্থির করেছিল জঙ্গিরা। বছরের প্রথমদিনেই রক্তাক্ত হল ভূস্বর্গ। রবিবার জোড়া জঙ্গি হামলায় ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু ও কাশ্মীর। প্রায় একইসঙ্গে শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা এবং রাজৌরি সেক্টরে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। রাজৌরির জঙ্গি হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত আরও ৬ জন। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, নিহতরা কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য।
রবিবার আপার ডাংরি গ্রামে জঙ্গিরা হামলা চালায়। পরিচয় জেনে তিনটি বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। এর জেরেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা প্রত্যেকেই নিরীহ গ্রামবাসী বলেই জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে জম্মুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই হামলার পর উপত্যকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
রবিবার প্রথমে শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই রাজৌরির ডাংরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা চলে। জানা গিয়েছে, সন্ধের পরে ২ জন বন্দুকবাজ হামলা চালায়। তিনটি বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে, ওই বাড়ির মানুষদের পরিচয় জেনে। প্রথমে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে রাজৌরির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাণ হারান আরও ২ জন। পাশাপাশি এখনও আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর আহত এবং নিহতরা প্রত্যেকেই হিন্দু। এই নিয়ে গত ২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার জঙ্গি হামলা ঘটল রাজৌরিতে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সেনা ক্যাম্পের বাইরেই জঙ্গি হামলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে, নতুন বছরের প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় ডাংরি গ্রামের প্রধান প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এই হামলার পরে জম্মু জোনের এডিজিপি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, ‘জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনা গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুতই এই সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ মিলবে।’ এদিকে, জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে সোমবার রাজৌরিতে বনধের ডাক দিয়েছে কয়েকদি রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন।
আপনার মতামত লিখুন :