শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

‘জম্মু ও কাশ্মীর আজ গোটা দেশের কাছে নিদর্শন’! জম্মুতে পৌঁছেই বার্তা মোদীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ০৩:২০ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ০৯:৪৪ পিএম

‘জম্মু ও কাশ্মীর আজ গোটা দেশের কাছে নিদর্শন’! জম্মুতে পৌঁছেই বার্তা মোদীর
‘জম্মু ও কাশ্মীর আজ গোটা দেশের কাছে নিদর্শন’! জম্মুতে পৌঁছেই বার্তা মোদীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর আজ প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু- কাশ্মীরে গিয়েছেন। এদিন জাতীয় পঞ্চায়েত রাজ দিবস উপলক্ষে এদিন প্রধানমন্ত্রী জম্মুর সাম্বায় এক জনসভায় ভাষণ দেন। সেখানেই তিনি দেশের গণতন্ত্র বজায় রাখতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘কাশ্মীরের গ্রামীণ অঞ্চলে উন্নতি হয়েছে। বহু বছর বাদে স্বাধীনতা পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। বাবা আম্বেদকর আজ যদি থাকতেন, তবে অত্যন্ত গর্বিত বোধ করতেন।’

তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর আজ গোটা দেশের কাছেই একটা নিদর্শন।’ এদিন প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, উন্নয়নের বার্তা নিয়েই তিনি এসেছেন। এদিন তিনি ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে দরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তের সস্তায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশের বিকাশের জয়যাত্রায় আজ বড় ছাপ রাখছে কাশ্মীর। আমি এখানে আসার আগে পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখনই আমি মানুষের জন্য তাঁদের কাজের প্রচেস্তা দেখে আমি মুগ্ধ। সকলের জন্য কাজ করার ইচ্ছা আদপে কী হয় তা কাশ্মীরের মানুষ করে দেখিয়েছে। এবার পঞ্চায়েতি রাজ দিবস জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে। এটা দেশের বুকে একটা বড় পরিবর্তনের প্রতিক। এটা খুবই গর্বের কথা যে, আজ গণতন্ত্র জম্মু- কাশ্মীরে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।’

এদিন তিনি আরও বলেন যে, ‘উপত্যকার তরুণরা আমার কথায় ভরসা রাখুন। আপনাদের পূর্বপুরুষদের যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাতে হয়েছিল, আপনাদের জীবনকে তেমন হতে দেব না।’ 

জম্মু-কাশ্মীরে উন্নয়নের হার যে দ্রুত গতিতে বাড়ছে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর গত সাত দশকে কাশ্মীরে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু গত ২ বছরে সেই টাকার পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকায়। আমরা বাবা সাহেব আম্বেদকরের স্বপ্নকে সত্যি করতে পেরেছি। উনি বলতেন, জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণ সম্প্রদায় যেন চাকরির সবরকম সুযোগ পায়। আগে দিল্লি থেকে সরকারি ফাইল এখানে পৌঁছে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যেত।’

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কাশ্মীরে ৩০ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি আজ মানুষের দেখভাল করছেন। গণতন্ত্র হোক বা উন্নয়ন, আজ জম্মু-কাশ্মীর গোটা দেশের জন্য একটা নতুন উদাহরণ তৈরি করছে। এতদিন দেশের প্রায় ২০০-র বেশি আইন জম্মুতে প্রয়োগ হত না। ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পর তা করা গিয়েছে। এর জেরে এখানকার মহিলা থেকে শুরু করে গরিব, দলিত শ্রেণির মানুষেরা লাভবান হয়েছে। আজ আমার গর্ব হয় কাশ্মীরের মানুষের জন্য।’