রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ভারতীয় সেনার মানবিক রূপ! রক্ত দিয়ে পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গির প্রাণ বাঁচালেন জওয়ানরা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২২, ০৫:০২ এএম

ভারতীয় সেনার মানবিক রূপ! রক্ত দিয়ে পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গির প্রাণ বাঁচালেন জওয়ানরা
ভারতীয় সেনার মানবিক রূপ! রক্ত দিয়ে পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গির প্রাণ বাঁচালেন জওয়ানরা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হিংসার রূপ যতোই ভয়ঙ্কর, ধ্বংসাত্মক হোক না কেন, ভালোবাসা, মানবিকতার মতো মানবিক গুণগুলির জোর তার থেকেও বেশি। সম্প্রতি ভারতীয় সেনার হাতে আটক হয়েছে এক পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গি। পরিকল্পনা ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে রক্তাক্ত করার। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই হামলার ছক বানচাল হয়েছে। উল্টে সেনার জালে আটক ওই জঙ্গি। ভারতীয় সেনার উপরে হামলার ছক করেছিল ওই জঙ্গি, কিন্তু তাকেই ৩ বোতল রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন সেই ভারতীয় জওয়ান। হিংসাকে হারিয়ে দিল মানবিকতা।

আটক আহত জঙ্গি জানিয়েছে, উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর আত্মঘাতী হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে তাকে ৩০ হাজার টাকা দেয় পাকিস্তানি আর্মির এক কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার। সেনা সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২১ তারিখ জম্মুর রাজৌরি জেলায় নৌসেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রেখায় পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে যায় ওই জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, ওইদিনই নিয়ন্ত্রণ রেখায় বারবার সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পড়ে জওয়ানদের। পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের জমিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে।

এখানেই শেষ নয়, পাক মদতপুষ্ট কয়েকজন জঙ্গি, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কিছুটা ভেতরে ঢুকেও পড়ে। কিন্তু সেখানে রাখা মাইন ফিল্ডে পা দিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। পাশাপাশি আহত অবস্থায় আটক হয় তাবারক হোসেন নামের ওই সন্ত্রাসবাদী। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এই মুহূর্তে সে চিকিৎসাধীন। তাকে প্রাণে বাঁচাতে রক্ত দিয়েছেন জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই জঙ্গিকে রক্ত দেওয়ার পরে সে বিপদমুক্ত।

জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা। জেরায় সে জানিয়েছে যে, তিন-চারজনকে সঙ্গে নিয়ে সে এসেছিল। পাক সেনার কর্নেল ইউনুস চৌধুরী তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়।

সূত্রের খবর, এর আগে একবার ভারতীয় পোস্টগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ‘রেকি’ করতে এসেছিল তাবারক। হামলা চালানোর জন্য ২১ অগাস্ট চূড়ান্ত সবুজ সঙ্কেত পায় সে। উল্লেখ্য, এই একই সেক্টরে ২০১৬ সালেও তাবারক হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় সেনা। সেবার তার সঙ্গে ধরা পড়েছিল তার ভাই হারুন আলিও। তবে, মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাদের দুজনকেই পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।