শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

আমেরিকা কি ক্রমশ পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে? পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২২, ০৯:০৬ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৩:৫০ এএম

আমেরিকা কি ক্রমশ পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে? পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান
আমেরিকা কি ক্রমশ পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে? পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আচমকাই হাজির মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লি মার্কিন আইন প্রণেতার এই উপস্থিতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের উপস্থিতিকে সংকীর্ণ মানসিকতা পরিচয় বলেই আক্রমণ করেছেন। 

উল্লেখ্য, সদ্য পাকিস্তানে নয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই, শাহবাজ শরিফ। টুইটারে নয়া প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই এই ঘটনায় কড়া সমালোচনা করেছে দিল্লি। 

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘তিনি অবৈধভাবে পাকিস্তানের দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডে গিয়েছেন। তিনি নিজের দেশে এমন সংকীর্ণ মানসিকতার রাজনীতি করতে পারেন, সেটা তাঁর বিষয়। কিন্তু আমাদের ভৌগলিক অখণ্ডতার অবমাননা মেনে নেওয়া হবে না। এটা খুবই নিন্দাজনক।’

উল্লেখ্য, ২০ তারিখ চারদিনের পাকিস্তান সফরে গিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর। ইতিমধ্যেই মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ইলহান।

প্রসঙ্গত এই ইলহানের পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা এবং ভারতের প্রতি বিদ্বেষ কারোর অজানা নয়। মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান একাধিকবার ভারবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। তিনি এমনকি এও বলেছেন যে, ভারতে মুসলিমরা সুরক্ষিত নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। পাশাপাশি এর আগে সিএএ, এনআরসি নিয়েও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।

অন্যদিকে, বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সফর শুধুমাত্র কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভারতের সমর্থন চেয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেকে বারবার সরিয়ে নিয়েছে। এটা ভালোভাবে নেয়নি আমেরিকা। তাই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সমস্যা নিয়ে আমেরিকার এই আচরণকে কূটনৈতিক চাল হিসেবেই দেখছে বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ।