শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ইতিহাস গড়ল ভারত! কোভিড টিকাকরণে ২০০ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করল দেশ, প্রশংসা মোদীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২২, ০৪:৩০ পিএম | আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২২, ১০:৪১ পিএম

ইতিহাস গড়ল ভারত! কোভিড টিকাকরণে ২০০ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করল দেশ, প্রশংসা মোদীর
ইতিহাস গড়ল ভারত! কোভিড টিকাকরণে ২০০ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করল দেশ, প্রশংসা মোদীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে দেশের করোনা গ্রাফ। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকেই এগোচ্ছিল ভারত। কিন্তু এখনও দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় নেয়নি করোনা। এর মধ্যেই দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে সংক্রমণ। বাড়তে বাড়তে ইতিমধ্যেই তা ২০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। এই পরিস্থিতিতে বারবার টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে, নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই কোভিড টিকাকরণে নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত। করোনার টিকাকরণ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যেই রেকর্ড গড়ল ভারত। করোনা মোকাবিলায় ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়। আর এবার ১৮ মাসের মধ্যে তা ২০০-র গণ্ডি অতিক্রম করল। রবিবার ২০০ কোটি ডোজ টিকাকরণের মাইল ফলক ছুঁয়েছে দেশ। এই নজির সৃষ্টির পরই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

টিকাকরণে নয়া ইতিহাস সৃষ্টির পরই, টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ভারত আবার ইতিহাস গড়ল। ২০০ কোটি ডোজ টিকাকরণ সম্পূর্ণ করায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। যারা দেশের টিকাকরণকে অতুলনীয় গতিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন। কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।’ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ে। এরপর করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মার্চ মাস থেকে দেশে লকডাউন জারি করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে টিকা পান চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর ওই বছরই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা পেতে শুরু করেন স্বাস্থ্যকর্মী-সহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। এরপর ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ষাটোর্ধ্বদের টিকাকরণ। একইসঙ্গে ৪৫-৫৯ বছর বয়সিরা যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকাররণ কর্মসূচি শুরু হয়। 

এরপর করোনা বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ ঊর্ধ্ব সকলকেই করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি একমাসের মধ্যেই ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকলকেই করোনার টিকাদানের অনুমতি দেয় কেন্দ্র সরকার। এরপর আসে ছোটদের টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা। ২০২২ সাল থেকে ১৮-র নিচে থাকা নির্দিষ্ট বয়সী ছোটদের টিকা দেওয়ার অনুমতি দেয় কেন্দ্রে মোদী সরকার। এরপর  চলতি বছরেই করোনা যোদ্ধাদের প্রিকশন ডোজের বা বুস্টার অনুমতি দেয় মোদী সরকার। আর এখন তো দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও যেমন চলছে, তার পাশাপাশি ১৫ জুলাই থেকে সকল প্রাপ্ত বয়স্করাই বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন বিনামূল্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী,  টিকাকরণ শুরুর ৯ মাসের মধ্যে ১০০ কোটির গন্ডি পার করেছিল ভারত। পরের ৯ মাসে আরও ১০০ কোটি ডোজ সম্পূর্ণ করল দেশ।