বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই রয়েছে দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনী লড়াইয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিজেপি শিবির থেকে দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী জোট শিবির থেকে যশবন্ত সিনহা। তবে, এই দু’জন ছাড়াও রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন আরও অনেকেই। যশবন্ত সিনহা এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁদের মনোনয়ন পেশ করেছেন। কিন্তু বাকি যারা রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলেই খবর। কাজেই শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মূলত দ্রৌপদী মুর্মু এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার মধ্যেই।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চেয়ে কতজন এই নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন? উত্তরটা হল, সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, রাইসিনা হিলসের দখল নিতে চেয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছিল মোট ১৫৫ টি। এবার জেনে নেওয়া যাক কে কে ছিলেন সেই দীর্ঘ তালিকায়।
সেই তালিকায় রয়েছেন, বিহারের কৃষক লালু প্রসাদ যাদব, দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এবং পেশায় ব্যবসায়ী আর এস সতীশ কুমার, অধ্যাপক ডা. ডি দয়া শঙ্কর আগরওয়াল-সহ আরও অনেকেই। আর মনোনয়ন বাতিলের অন্যতম কারণ, ফর্ম পূরণের কিছু ভুলের কারণে এই শতাধিক মনোনয়নের মধ্যে ২৬ জনের ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়মাবলীর ৫ বি(৪) ধারা অনুযায়ী বাদ গিয়েছে প্রথম দিকেই। এদিকে, রাজ্যসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, বাকি ৮৭টি মনোনয়ন এর মধ্যে ৫ বি ধারায় বাদ গিয়েছে আরও ৭৯ টি মনোনয়ন।
এর অর্থ, দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী জোট শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার মধ্যেই হবে মূল লড়াই। সূত্রের খবর, শেষপর্যন্ত স্ক্রুটিনিতে বাকি সব মনোনয়নই বাতিল হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এঁদের কারও সঙ্গেই ৫০ জন করে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবক ছিল না। উল্লেখ্য, ২ জুলাই রয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১৫ জুন। ২৯ জুন ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এরপর ৩০ জুন মনোনয়ন খতিয়ে দেখা হয়। মনোনয় প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ জুলাই। চলতি মাসের ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আর ২১ জুলাই রয়েছে ফল ঘোষণা। এরপরই দেশ পাবে, নয়া রাষ্ট্রপতি। চলতি বছরের ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে রামনাথ কোবিন্দের।
আপনার মতামত লিখুন :