শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাহুলের ‘নীতি-আদর্শ’ মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলি! কী বলছে কংগ্রেসের ‘বন্ধু’ দলগুলি?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২, ১১:০৪ পিএম | আপডেট: মে ১৭, ২০২২, ০৫:০৯ এএম

রাহুলের ‘নীতি-আদর্শ’ মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলি! কী বলছে কংগ্রেসের ‘বন্ধু’ দলগুলি?
রাহুলের ‘নীতি-আদর্শ’ মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলি! কী বলছে কংগ্রেসের ‘বন্ধু’ দলগুলি?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই বড় লক্ষ্য। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরানো এবং কংগ্রেসে আবারও শক্তিশালী দল হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তাই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কৌশল ঠিক করতেই রাজস্থানে চিন্তন শিবিরে বসেছিল কংগ্রেস। এই শিবিরে ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম সারির তাবড় তাবড় নেতারা। 

এই চিন্তন শিবির থেকেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আঞ্চলিক দলগুলির মতাদর্শ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির মতাদর্শের অভাব রয়েছে বলেই মত প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক দলগুলির কোনও নীতি বা আদর্শ নেই।’

এদিকে, রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যে বেজায় চটেছে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি। ক্ষোভে ফুঁসছে দলগুলি। কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীকে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, ‘নীতি-আদর্শ ছাড়াই আমরা এতদিন দল চালাচ্ছি নাকি?’ বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির আরও বক্তব্য,কংগ্রেসের এখন বাস্তবের মুখোমুখি হওয়ার সময় এসে গেছে। কংগ্রেস এখন আর একমাত্র বিরোধী দল নয়। 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১৩ মে রাজস্থানের উদয়পুরে শুরু হয় কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। এই শিবির চলে ১৫ মে পর্যন্ত। এই শিবিরের প্রধান উদ্দেশ্যেই নাকি ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরো পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলা। সেই চেষ্টায় কতোটা সফল হয়েছে কংগ্রেস তা স্পষ্ট না হলেও, রাহুল গান্ধীর ‘নীতি-আদর্শ’ মন্তব্যে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রবিবার চিন্তন শিবিরে রাহুল দাবি করেছিলেন, বিজেপিকে একমাত্র কংগ্রেসই হারাতে পারে। অন্য কোনও আঞ্চলিক দল নয়। বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির কোনও আদর্শ নেই। কংগ্রেসকেই তাই বিজেপিকে হারাতে লড়াই করতে হবে। এর জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে।

এদিকে, রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরই একের পর এক বিভিন্ন অবিজেপি দল নিজেদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেএমএম-সহ একাধিক বিজেপি বিরোধ অঞ্চলিক দলগুলি নিজেদের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে। 
এ প্রসঙ্গে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি-র মুখপাত্র জানিয়েছে, ‘গত নির্বাচনগুলিতে আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছে তা দেখুন রাহুল গান্ধী।’ রাহুলের এই মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে  জেএমএম। তাঁরা জানিয়েছে, ‘এটা রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত মত এবং অবশ্যই তাঁর মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু মতাদর্শ নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষমতা তাঁকে কে দিয়েছে? আমরা কি কোনও আদর্শ ছাড়াই দল চালাচ্ছি?’ আর এক বন্ধু দল আরজেডিও এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিরক্ত আম আদমি পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসও।

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসই যে বিজেপির আসল বিরোধী, সেটা এখন আর মানুষ বিশ্বাস করেন না। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিরোধী মুখ। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস কার্যত অপাংক্তেয়।’