বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের আকবর রাজধানীর বুকে বড় হামলার ছক। তবে, পুলিশি তৎপরতার কারণে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বিস্ফোরক। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরনো দিল্লি সীমাপুরী অঞ্চলের একটি বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলাকালীন একটি ব্যাগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় এন এস জি এবং বম্ব স্কোয়াডকে। আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে উক্ত ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় আইইডি বা বিস্ফোরক। বিস্ফোরক উদ্ধার হতেই তা নিস্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেন এনএসজি-র জওয়ানরা।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগটি যে বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে, সেই বাড়ির মালিক পলাতক। তাঁর খোঁজেও ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান যে, বড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এদিন গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্টের মালিক কোয়াশিম তিন-চার যুবককে ঘরটি ভাড়া দেয়। যারা এই মুহূর্তে পলাতক। ওই সন্দেহভাজন যুবকদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানী দিল্লির গাজিপুর এলাকার একটি ফুলের দোকানের সামনে থেকেও একটি পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বম্ব স্কোয়াড। এরপর সেই ব্যাগ থেকেও উদ্ধার হয় আইইডি। সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে তা নিস্ক্রিয় করা হয়। সেই ঘটনায় গোয়েন্দাদের অনুমান ছিল, সবথেকে বেশি ক্ষতি সাধনের লক্ষ্য নিয়েই বাজারে ভিড় যে সময়ে বেশি থাকে, সেই সময়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে সেটি ব্যর্থ হয়। সেই ঘটনার পর এদিন ফের উদ্ধার হল আইইডি।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লস্কর-ই-তৈবা, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স, জইশ-ই-মোহাম্মদ, হরকাত-উল-মুজাহিদিন এবং হিজবুল-মুজাহিদ্দিন-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি এই নাশকতামূলক পরিকল্পনার নেপথ্যে থাকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :