শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

‘ভারত টেকনোলজিক্যাল পাওয়ার হাউস’! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন EU কমিশনের প্রেসিডেন্ট

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ১০:৫২ পিএম

‘ভারত টেকনোলজিক্যাল পাওয়ার হাউস’! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন EU কমিশনের প্রেসিডেন্ট
‘ভারত টেকনোলজিক্যাল পাওয়ার হাউস’! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন EU কমিশনের প্রেসিডেন্ট

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডের লিয়েন। আজ রাজধানীতে হওয়া ওই বৈঠকে ‘টেকনোলজিক্যাল পাওয়ার হাউস’ ভারতের সঙ্গে নয়া সম্পর্কের সূচনার আগ্রহ প্রকাশ করলেন লিয়েন। 

এদিন টুইটারে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী লেখেন, “আজ দিল্লিতে ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডের লিয়েনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইন্ডিয়া-ইইউ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন দুই প্রধান। এছাড়া, বাণিজ্য, পরিবেশ, ডিজিটাল টেকনোলজি ও জনসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করে তোলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন দু’জনে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের সঙ্গে ‘ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিল’ গড়ে তোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে তিনি রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কাজেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে, এতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের পথ আগামীতে আরও সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,বর্তমানে শুধু আমেরিকার সঙ্গেই এই ধরনের কাউন্সিল রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। 

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে ভারতকে ‘টেকনোলজিক্যাল পাওয়ার হাউস’ বলে উল্লেখ করেন উরসুলা ভনডের লিয়েন। তিনি বলেন, ‘এবছর ভারত-ইইউ সম্পর্কের ৬০তম বর্ষপূর্তি। আজকের দিনে এই সম্পর্কের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। আমরা বর্ধিষ্ণু গণতন্ত্র এবং বৃহৎ অর্থনীতি। কিন্তু আজ আমরা একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি।’

অন্যদিকে, বৈঠকে উরসুলা ভনডের লিয়েনেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, আগামীদিনে লিয়েনের নেতৃত্বে ইইউ ও ভারতের সম্পর্ক আরও অনেকদূর এগোবে। উল্লেখ্য, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে আগে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই সূত্রের খবর।