ভারতে চিতা আনার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে করা হলেও এই পরিকল্পনা বাস্তব করতে ১০টি এলাকা পর্যবেক্ষণ কড়া হয়ে থাকে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ সহ ছত্তীসগঢ় –এর ১০ টি এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। এবং এই পর্যবেক্ষণ এর পরই মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানকেই চিতা রাখার জন্য সঠিক জায়গা বলে ঠিক হয়েছে।
শনিবারই আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়েছে। আর এই চিতাগুলি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যান-এ। তবে অন্যান্য অভয়ারণ্য থাকা সত্যেই মধ্যপ্রদেশের এই অভয়ারণ্যকেই কেন চিতা রাখার জন্য বেছে নেওয়া হল জেনে নিন..
মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৭৪৮ বর্গ কিলোমিটার। এছাড়া ভারতে ৭ দশক আগে ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার শাল বন –এ শেষ বার চিতা দেখা গিয়ে ছিল। যেটা এই জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি।
অন্যদিকে চিতা থাকার জায়গা হতে হবে বিশাল বড়, নিরিবিলি। আর এই জাতীয় উদ্যান বন্য পশুদের থাকার জন্য সুযোগ্য করে তুলতে প্রায় ২৪টি গ্রামের বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
এছাড়া এই জাতীয় উদ্যানে প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৯ টি করে চিতাবাঘ আছে। আর এই চিতাবাঘ আফ্রিকা থেকে আনা চিতার তুলনায় বেশি শক্তিশালী। অন্যদিকে এখানে প্রায় ২১ টি চিতা থাকার মতো জায়গা আছে। আর দরকারে ২১ থেকে আরও ১০-১৫ টা বেশি চিতাও রাখা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :