বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবারই সকাল থেকে দেশের ১৩ টি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পিএফআই-এসডিপিআই সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে এনআইএ, ইডি ও রাজ্য পুলিশ। প্রায় ১১ টি রাজ্য থেকে ১০০- জনের বেশি পিএফআই সদস্য এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই খবর। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর হামলার ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআই। ইডি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিহারের পাটনায় নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় হামলা করার পরিকল্পনা ছিল এই মৌলবাদী সংগঠনের। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু সংবেদনশীল জায়গায় হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক পদার্থ এবং অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করার অভিযোগও উঠেছে পিএফআই-এর বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, এই সংগঠনের এক কর্মীর জবানবন্দির ভিত্তিতেই এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ইসলামিক সংগঠন পিএফআই চলতি বছরের ১২ জুলাই বিহারের পাটনায় মোদীর জনসভায় হামলার পরিকল্পনা করে। শফিক পায়েত নামের ওই পিএফআই কর্মীই ইডি-র কাছে এই তথ্য ফাঁস করেছে, দাবি ইডি-র।
বৃহস্পতিবার ইডি-এনআইএ-এর যৌথ অভিযানের নাম ‘অপারেশন অক্টোপাস’ এই অভিযানেই কেরল থেকে শফিক পায়েত নামের ওই পিএফআই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই শফিক-এর বিরুদ্ধে রিমান্ড নোটে ইডি দাবি করেছেন যে, পিএফআই একটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর হামলার জন্য একটি প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করা হয়েছিল। এই বছর ১২ জুলাই মাসে বিহারের পটনায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ই সেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল এই মৌলবাদী সংগঠনের। পাশাপাশি মোদীকে হত্যার লক্ষ্য পূরণের জন্য ১০০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেছিল পিএফআই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সংগঠনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। দীর্ঘসময় ধরেই এই সংগঠনের মাধ্যমে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি জঙ্গি নিয়োগ করে বলে অভিযোগ উঠছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এবার সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল। এনআইএ জানিয়েছে যে, এই এই পিএফআইয়ের মাধ্যমেই ভারতে জঙ্গি নিয়োগ করত আইসিস, জইশ, আল-কায়দা, লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এই মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা সংখ্যালঘু যুবকদের জঙ্গি সংগঠনের সামিল হতে উৎসাহ যোগাত।
এদিকে, ইতিমধ্যেই বিজেপি এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে। এ বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, ‘গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা সবাই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :