শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

দিনেদুপুরে এই রাজ্যে স্কুলে ঢুকে দুই ছাত্রীকে নগ্ন করল দুষ্কৃতী! অভিযোগ শুনেও নির্বিকার প্রিন্সিপাল

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২২, ১০:৫৩ পিএম | আপডেট: মে ৫, ২০২২, ০৪:৫৩ এএম

দিনেদুপুরে এই রাজ্যে স্কুলে ঢুকে দুই ছাত্রীকে নগ্ন করল দুষ্কৃতী! অভিযোগ শুনেও নির্বিকার প্রিন্সিপাল
দিনেদুপুরে এই রাজ্যে স্কুলে ঢুকে দুই ছাত্রীকে নগ্ন করল দুষ্কৃতী! অভিযোগ শুনেও নির্বিকার প্রিন্সিপাল / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এককথায় নজিরবিহীন। দিল্লিতে দিনের বেলায় পুরসভার এক স্কুলের ভিতরে ঢুকে দুই ছাত্রীকে নগ্ন করার অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওই ব্যক্তি পরে সকলের সামনে প্রস্রাবও করে। কিন্তু এর পরে যেটা ঘটে তা আরও লজ্জাজনক। এই ঘটনার কথা যখন ছাত্রীরা স্কুলের প্রিন্সিপালকে জানায়, তখন তিনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে ছাত্রীদের বলেন, ‘যা হয়েছে ভুলে যাও।’ এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দিল্লির মহিলা কমিশন পুলিশের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। দাবি জানিয়েছেন যে, দ্রুত যেন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। 

ঘটনাটি ৩০ এপ্রিলের। দিল্লি পুরসভার ওই স্কুলে সকালের প্রার্থনার পরে ক্লাসে গিয়ে বসেছিল পড়ুয়ারা। সেই সময় একটি ক্লাসে আচমকাই ঢুকে পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। অভিযোগ ক্লাসে ঢুকেই সে দু’জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তাদের পোশাক খুলে নগ্ন করে দেয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে সমস্ত পড়ুয়ার সামনে অভিযুক্ত ওই দুষ্কৃতী প্রস্রাবও করে দেয়।  

পরে এই বিষয়ে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ জানায় পড়ুয়ারা। সেই সঙ্গে অভিযোগ জানানো হয় প্রিন্সিপালকেও। কিন্তু সবাইকে অবাক করে, প্রিন্সিপাল এবং অন্যান্য শিক্ষকরা বলতে থাকেন, ‘যা হয়েছে ভুলে যাও’। স্কুলে যেখানে শুধু পাঠ্য শিক্ষাই নয়, মানুষ হওয়ার পাঠও দেওয়া হয়, সেই স্কুলের শিক্ষকরাই স্কুলের ভিতরে শিক্ষকদের দায়িত্বে থাকা পড়ুয়াদের সঙ্গে হওয়া জঘন্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করার পরিবর্তে, সব ভুলে যেতে বলছে। অন্যায়কে মুখ বন্ধ রেখে মেনে নিতে বলছেন পরোক্ষে। স্কুলের মধ্যেই যদি এমনটা হয়, তাহলে পড়ুয়াদের উপরে এর কী প্রভাব পড়বে? এটা ভাববার বিষয় নিঃসন্দেহে।

এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল। টুইটারে অভিযোগ জানিয়ে পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, “দিল্লির এমসিডি স্কুলে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়ে এবং দুই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে দেয়। পরে তাঁদের সামনেই প্রস্রাবও করে। মেয়েরা প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকদের পুরো বিষয়টা জানালে তাঁরা বলেন, ‘ভুলে যাও’। আমি পুলিশের কাছে নোটিশ ইস্যু করেছি। অভিযুক্তকে এখনই গ্রেফতার করা হোক।” পাশাপাশি কেন এমনটা করা হল, তার জবাবদিহিও চেয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান। তাঁর পোস্টের সঙ্গে তিনি নোটিসটির কপিও জুড়ে দেন।