বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পরিবারের ৫ জনকেই একে একে খুন করলেন এক ব্যক্তি। এই ৫ জনের মধ্যে আবার ওই ব্যক্তির তিন শিশু কন্যাও রয়েছে। সোমবার এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে দেরাদুনে। কিন্তু কেন এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটালেন ওই ব্যক্তি?
৫ জনকে খুনের নেপথ্যে কারণ অতি তুচ্ছ। সকালের প্রাতরাশ বানান নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসার জেরেই এই রক্তারক্তি কাণ্ড বলেই জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মহেশ তিওয়ারি। বছর ৪৭-এর ওই ব্যক্তি যে ছুরি দিয়ে এই ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন, পুলিশ সেটি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে। অস্ত্রটি একটি কিচেন নাইফ। রানিপোখরি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির করা ছুরির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা বিতান দেবী, স্ত্রী নীতু দেবী (৩৬), তিন কন্যা যথাক্রমে অপর্ণা (১৩), স্বর্ণ (১১) এবং অন্নপূর্ণা (৯)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল, আর তিন মেয়ের মধ্যে স্বর্ণ বিশেষভাবে সক্ষম ছিল। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, সামান্য ব্রেকফাস্ট টেবিল বচসা এত বড় দুর্ঘটনা ডেকে আনল?
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহেশ তিওয়ারি কর্মহীন, তার কোনও কাজ নেই, তাই রোজগারও নেই। মহেশের দাদা উমেশ কর্মসূত্রে স্পেনে থাকেন। তিনিই ভাইয়ের সংসার খরচ চালান। নাগাঘের এলাকার যে বাড়িতে মহেশ তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন, সেই বাড়িটিও দাদার। ২০১২ সালে বাবা দীনেশ কুমারের মৃত্যুর পরে মহেশ দাদা উমেশের এই বাড়িতে এসে ওঠেন। মহেশ খুবই ধর্মপ্রাণ। তিনি বাড়িতে অধিকাংশ সময়েই পুজোআচ্ছায় সময় কাটাতেন। সোমবারও সকাল ৭টা নাগাদ তিনি পুজোয় ব্যস্ত ছিলেন।
এদিকে স্ত্রী তখন মেয়েকে দ্রুত স্কুলে ছেড়ে আসার জন্য স্বামীকে তাড়া দিচ্ছিলেন। ব্রেকফাস্ট বানাতে গিয়ে স্ত্রী দেখেন, এলপিজি সিলিন্ডার ফাঁকা। এরপর বাড়িতে একটা অতিরিক্ত সিলিন্ডার ছিল। সেটা তখন দ্রুত আভেনে পরিয়ে নিতে গিয়ে দেখা যায় সেটিও ফাঁকা। তখন আবার নতুন করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা বাধে, চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। আর তখনই রান্না ঘর থেকে ছুরি নিয়ে তিনি প্রথমে স্ত্রী, তারপর তিন মেয়ে এবং পরে মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাঁদের এক এক করে মেরে ফেলেন।
আপনার মতামত লিখুন :