শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নাবালিকার! ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে পুলিশি অত্যাচারের শিকার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২, ১১:৩৮ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০৫:৪২ এএম

ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নাবালিকার! ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে পুলিশি অত্যাচারের শিকার
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নাবালিকার! ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে পুলিশি অত্যাচারের শিকার / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলে বছর ১৩-র এক দলিত নাবালিকা। কিন্তু অভিযোগ জানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, তাকে থানায় সারারাত আটকে রাখা হয়। শুধু আটকে রাখাই নয়, তাকে মারধরও করা হয়।

সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছত্তারপুরে। এই ঘটনায় তিন পুলিশ অফিসারকে বুধবারই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। নাবালিকাকে থানায় আটকে রেখে অত্যাচারের ঘটনাটি ঘটেছিল ৩০ আগস্ট। এর পাশাপাশি যে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল ওই নাবালিকা, সেই অভিযুক্ত যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানকার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ছত্তারপুরের জেলা পুলিশ সুপার সচিন শর্মা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ছত্তারপুরের কোতয়ালি থানার স্টেশন হাউস অফিসার অনুপ যাদব, ইনস্পেক্টর মোহিনী শর্মা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর গুরুদত্ত শেসাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে, ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ২৭ আগস্ট খেলার জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। কিন্তু তারপর আর ফেরেনি। পরের দিন কোতোয়ালি থানায় মেয়ের নামে ডায়েরি করেন তাঁর স্বামী। ৩০ আগস্ট কিশোরী বাড়ি ফেরে এবং বাবা-মাকে জানায় এক যুবক তাকে জোর করে তার বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই তাকে আটকে রেখে তিনদিন ধরে ধর্ষণ করেছে।

নির্যাতিতা ওই নাবালিকার মা বলেছেন, ‘আমরা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। দুই মহিলা পুলিশ কর্মী আমার মেয়েকে বয়ান বদলের জন্য চাপ দেয়। আমার মেয়েকে মারধর করে। আমাদের থানার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। আমরা থানার বাইরে ছিলাম। এবং আমাদের মেয়েকে থানার ভিতর আটকে রাখা হয়েছিল। আমার মেয়েকে লাথি, বেল্ট দিয়েও মেরেছে পুলিশ।’

এরপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও সেখানে অপহরণের ধারা যোগ করা হয়নি। আবার এফআইআর-এ নাবালিকার বয়স লেখা হয়েছিল ১৭ বছর। এরপরই গোটা বিষয়টি পৌছায় চাইন্ড ওয়েলফেরার কমিটির কাছে। তাঁদের হস্তক্ষেপে পুলিশের উপর মহলে অভিযোগ জানানো হয় এবং অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়।