শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নৃশংস! বোনকে ধর্ষণ করে খুন, নাবালিকা নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে ধর্ষিতা ঠাকুমাও

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২, ০৩:৩৩ পিএম | আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২২, ০৯:৩৩ পিএম

নৃশংস! বোনকে ধর্ষণ করে খুন, নাবালিকা নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে ধর্ষিতা ঠাকুমাও
নৃশংস! বোনকে ধর্ষণ করে খুন, নাবালিকা নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে ধর্ষিতা ঠাকুমাও / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ককথায় নৃশংস এবং পাশবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের রাঞ্জি। কাকার বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি হল এক বছর ১৬-র নাবালিকার। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে তাঁর কাকার দুই ছেলে।

জানা গিয়েছে, কাকার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার পর থেকেই বোনকে হেনস্থা করা শুরু করে তাঁর ভাইয়েরা। এরপর একটানা তাকে শারীরিক নির্যাতন ও গণধর্ষণ করে দুই ভাই। সেই ভাবেই ৬ দিন ওই নির্যাতিতা নাবালিকা বাড়িতেই পড়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাও হয়। এরপরই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়েটির সাহায্যের জন্য তাঁর ঠাকুমা এগিয়ে এলেও, তাঁকেও ধর্ষণ করা হয়। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা তাঁর বাবার সঙ্গে মুম্বইতে থাকত। গত ১১ আগস্ট জব্বলপুরে তার কাকার বাড়িতে এসেছিল। ১২ আগস্ট তার দুই খুড়তুতো ভাই মিলে তার শ্লীলতাহানী করে।

জানা গিয়েছে, ১৯ আগস্ট তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার আগে পর্যন্ত বেশ কয়েকদিন ধরেই তাকে বারবার ধর্ষণ এবং মারধর করা হয়। এরপর নাবালিকার মৃত্যু হলে, জব্বলপুরেই তাকে কবর দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা পুলিশকে জানান যে, তাঁর মেয়েকে তার দুই খুড়তুতো ভাই মিলে গণধর্ষণ এবং মারধর করেছে। এদিকে, এএসপি জব্বলপুর প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন যে, ঠাকুমা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নাতনিকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও ধর্ষণ করে অভিযুক্তেরা।

এদিকে, নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার দেহ কবর থেকে তোলে পুলিশ। এবং ঠাকুমারও মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই ঠাকুমাকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ। এই জঘন্য অপরাধের অভিযুক্তদের মধ্যে এক ভাইকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যজন এখনও পলাতক। নির্যাতিতা নাবালিকার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।