শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে অন্য সহকর্মীর কটূক্তির জেরে এই রাজ্যের থানার মধ্যেই চলল গুলি!

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ১০:১৫ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:২০ পিএম

সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে অন্য সহকর্মীর কটূক্তির জেরে এই রাজ্যের থানার মধ্যেই চলল গুলি!
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে অন্য সহকর্মীর কটূক্তির জেরে এই রাজ্যের থানার মধ্যেই চলল গুলি! / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকার সম্পর্ক নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন আর এক সহকর্মী। আর তা নিয়েই যত সমস্যা। এই কটূক্তির জেরেই থানার মধ্যে চলল গুলি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে।

অভিযুক্তের নাম মনু কুমার। তিনি পাশায় পুলিশ কর্মী। পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বরেলীতে বাহেরি থানায় বদলি হয়ে আসেন মনু। তিনি বাগপতের বাসিন্দা। এদিকে, পড়শি জেলা মুজফফরনগর থেকে ওই থানাতেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে বদলি হয়ে আসেন এক মহিলা কনস্টেবল।

মনু কুমার এবং ওই মহিলা কনস্টেবল আগে থেকেই পূর্ব পরিচিত। অনেকদিন ধরেই একে অপরকে চেনেন। তাঁদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দু’জনে ভিন্ন জাতের হওয়ায়, বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর একথা জানতেন সহকর্মী কনস্টেবল যোগেশ চহ্বাল।

অভিযোগ মনু কুমার এবং তাঁর প্রেমিকার এই সম্পর্ক নিয়ে মাঝেমধ্যেই কটূক্তি করতেন চহ্বাল। সোমবার বিষয়টি চরমে ওঠে। দুজনের মধ্যে বচসা চলাকালীন মনু কুমার নিজের সার্ভিস বন্দুক থেকে থানার ভিতরেই গুলি চালান। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। মেঝেতে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছিলেন কুমার। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায়।

অন্যদিকে, থানার মধ্যেই গুলি চালানোর ঘটনা পুলিশের শীর্ষ মহলে পৌঁছতে সময় লাগেনি। এরপরই শীর্ষমহল থেকে কুমার, যোগেশ-সহ পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ বলেছেন, ‘যদি কোনও পুলিশকর্মী প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হন সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যবস্থা নেওয়া হবে গাফিলতি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য।’ তিনি জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ওই থানার পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ওই থানার স্টেশন হাউস অফিসার। পাশাপাশি ওই ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা যথাযথভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সার্কল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এসএসপি সত্যার্থ অনিরুদ্ধ আরও জানিয়েছেন, ‘কুমার এবং এক মহিলা কনস্টেবলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দুজনেই ভিন্ন জাতের। ভিন্ন জাতের প্রেম নিয়ে কটূ মন্তব্য করেন চহ্বাল নামের এক কনস্টেবল। এরপর গুলি চালান কুমার। এই ঘটনার ২ দিন আগেও তাঁদের মধ্য়ে বচসা হয়েছিল।’