বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৪০ মিনিট ধরে হয়ে গেল মোদী-মমতার বৈঠক। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। রাজ্যের বিপুল পরিমাণ বকেয়া-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। এই বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে বেরিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁকে হলুদ গোলাপের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মমতা। সাক্ষাতের পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে সেই খবর জানানো হয়েছে। ৭ আগস্ট নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর বেরিয়ে সোজা চলে যান ১৮৩, সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরে যান। আজ সাংবাদিক বৈঠক করার কথা থাকলেও, তা হয়নি। উল্লেখ্য, শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা যাবে মোদী-মমতাকে। এদিন পূর্ব পরিকল্পনা মতো শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে হলুদ গোলাপ ফুলের তোড়া ও মিষ্টি উপহার দেন। সেই সঙ্গে উপহারের তালিকায় ছিল বাটিকের নকশা করা উত্তরীয়। আজকের এই বৈঠকের দিকেই নজর ছিল সকলের।
বিরোধীরা প্রথম থেকেই কটাক্ষ করে এসেছে এই সাক্ষাতের প্রসঙ্গে। সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেটিং করতেই বৈঠক করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, জিএসটি বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করছেন মমতা।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে তিন পাতার চিঠিতে রাজ্যের বকেয়া সমস্ত হিসেব বিস্তারিতভাবে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিলিয়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটিরও বেশি। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছে মোদীকে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর সেই হিসেবের খতিয়ান। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর বকেয়া মেটানোর অনুরোধ আদৌ বাস্তবে পূরণ হয় কিনা সেটাই দেখার।
আপনার মতামত লিখুন :