শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

যোধপুরে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৯৭! অশান্তিদমনে জারি কার্ফু, বন্ধ করা হল ইন্টারনেট পরিষেবাও

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২২, ১০:০২ এএম | আপডেট: মে ৪, ২০২২, ০৪:১৫ পিএম

যোধপুরে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৯৭! অশান্তিদমনে জারি কার্ফু, বন্ধ করা হল ইন্টারনেট পরিষেবাও
যোধপুরে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৯৭! অশান্তিদমনে জারি কার্ফু, বন্ধ করা হল ইন্টারনেট পরিষেবাও

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের বিভিন্ন অংশে একের পর এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। এবার ঈদের দিনেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজস্থানের যোধপুর। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং অশান্তি দমনে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজস্থান প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে, এই সংঘর্ষের দায় একে অপরের উপর চাপিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি জানিয়েছেন, ‘চাকরি দিতে পারছে না। মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। সেদিকে থেকে নজর সরাতেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি।’ পাল্টা অশান্তির দায় কংগ্রেসের উপরই চাপিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর।

পরশুরাম জয়ন্তী এবং ঈদের অনুষ্ঠানের মাঝেই রাজস্থানের যোধপুরের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির সৃষ্টি হয়। দুই ভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। পরশুরাম জয়ন্তী উপলক্ষে যোধপুরে তিনদিনের এক বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিকে, মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় কিছু মানুষ পরশুরাম জয়ন্তী উপলক্ষে লাগানো পতাকা খুলে মুসলিম ধর্মীয় পতাকা লাগায়। এই ঘটনাকে নিয়ে প্রথমে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। পরেই তাই সংঘর্ষের রূপ নেয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ি হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। 


এদিকে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৭ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যোধপুরের উদয় মন্দির এবং নাগোরি গেট এলাকায় জারি করা কারফিউ। পাশাপাশি গুজব ছড়ানো ঠেকাতে এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। 

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকেই। তিনি বলেছেন, ‘এটাই বিজেপি কাজ। কারণ দেশজুড়ে দারিদ্র, বেকারের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। মোদী সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এই পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতে তারা ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাঁধাচ্ছে।’

অন্যদিকে, যোধপুরের বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর গেহলটের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ‘কংগ্রেস সরকারের তোষণের রাজনীতি একটি বিশেষ শ্রেণিকে ভয়ডরহীন করে তুলেছে। আর তাই এইসব অশান্তির ঘটনা ঘটছে।’