শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নৃশংসভাবে খুনের পর কাটা মুণ্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে থানায় হাজির ব্যক্তি! দেখে স্তম্ভিত পুলিশ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ১১:০০ এএম | আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৫:০০ পিএম

নৃশংসভাবে খুনের পর কাটা মুণ্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে থানায় হাজির ব্যক্তি! দেখে স্তম্ভিত পুলিশ
নৃশংসভাবে খুনের পর কাটা মুণ্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে থানায় হাজির ব্যক্তি! দেখে স্তম্ভিত পুলিশ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নৃশংস, সে বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল এক ফুটবল ম্যাচের। সেই খেলায় কোন দল জিতবে টা নিয়েও অনেকেই বাজি ধরেছিলেন। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কিন্তু এই বাজি ধরা থেকেই সমস্যার শুরু। সেই বাজিই যে কারও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বোইলা হেম্রাম। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর অসমের সোনিতপুর জেলায়।

ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরার জন্য মাত্র ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন গ্রামেরই এক ব্যক্তির কাছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি বাজি ধরার টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এদিকে, ফুটবল ম্যাচের শেষে দেখা যায় যে, ওই ব্যক্তিই জিতেছেন এবং জেতার পুরস্কার হিসেবে একটি ছাগলও পান তিনি। এরপর ছাগলটি নিয়ে কসাইখানায় যাওয়ার জন্য ওই ব্যক্তি বোইলাকে ডেকে ছিলেন। কিন্তু বোইলা যেতে অস্বীকার করেন। আর এই কারণেই বোইলার গলায় দাঁ দিয়ে কোপ মারেন। এরপর তাঁর কাটা মুণ্ডু নিয়ে হেঁটে যান ২৫ কিলোমিটার পথ। কাটা মুণ্ডু নিয়েই থানায় ধুকে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উত্তর অসমের সোনিতপুর জেলায় এক ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই অভিযুক্ত তুনিরাম মাদারি গ্রামেরই বাসিন্দা বোইলা হেম্রামকে খুন করেন। পড়ে কাটা মুণ্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে থানায় গিয়ে হাজির হন। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জানান হয়েছে, বোইলা হেম্রাম নামক ওই যুবক তুনিরামের কাছে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত সেই টাকা দেননি। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।

অন্যদিকে, ফুটবল ম্যাচের শেষে বাজি ধরে তুনিরাম মাদরি একটি ছাগল পুরস্কার হিসেবে জেতেন। রাতেই কসাইখানায় গিয়ে ছাগল কাটাবেন বলে ঠিক করেন তিনি। একা যাওয়ার বদলে বোইলা হেম্রামকেও সঙ্গে যেতে বলেন। কিন্তু ওই যুবক কসাইখানায় যেতে অস্বীকার করলে, তাদের মধ্যে আবার অশান্তি শুরু হয়। এরপরই হামলা করে তুনিরাম। গলায় দাঁয়ের কোপ দিয়ে মুণ্ড কেটে ফেলে হেম্রামের।

খুন করেই থামেনি অভিযুক্ত। কাটা মুন্ডু নিয়ে প্রথমে নিজের বাড়িতে যায় তুনিরাম। সেখানে ভাইয়ের কাণ্ড দেখে তাঁর দাদা তাঁকে মারতে এলে, অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ২৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে সে থানায় পৌঁছে আত্মসমর্পণ করে তুনিরাম। যে দাঁ দিয়ে ওই যুবকের খুন করেছে, সেটিও পুলিশের হাতে তুলে দেন তুনিরাম। পুলিশের তরফে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।