শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নতুন মন্ত্রিসভায় শপথের দিনেই বিহারের আইনমন্ত্রীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা! জানতেন না, দাবি নীতীশের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম | আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২২, ১০:৩৪ পিএম

নতুন মন্ত্রিসভায় শপথের দিনেই বিহারের আইনমন্ত্রীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা! জানতেন না, দাবি নীতীশের
নতুন মন্ত্রিসভায় শপথের দিনেই বিহারের আইনমন্ত্রীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা! জানতেন না, দাবি নীতীশের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত আরজেডি বিধায়ক কার্তিকেয়া সিংকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, আত্মসমর্পণ করার দিনেই রাজভবনে গিয়ে বিহারের নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। এদিকে, এই গোটা ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই দাবি করেছেন নীতীশ কুমার। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই শপথ নিয়েছেন বিহারের মহাজোট সরকারের মন্ত্রীরা।

নীতীশ কুমারের মন্ত্রীসভার নয়া আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য অপহরণ করেছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই গত ১৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এও বলা হয় যে, ১৬ আগস্ট তাঁকে দানাপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু কার্তিকেয়া সিং সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই, রাজভবনে গিয়ে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই আরজেডি বিধায়ক।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও ওয়ারেন্ট নেই। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি আমি।’ এদিকে, আরজেডি বিধায়ক কার্তিকেয়া সিং-এর বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না, বলেই দাবি করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। আমি কিছুই জানি না।’ উল্লেখ্য, বিহারের নয়া জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী হিসেবে জায়গা পেয়েছেন কার্তিকেয়া সিং। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে আইন ভঙ্গের মতো গুরুতর অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এনডিএ জোট ভেঙে বেরিয়ে এসে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন নীতীশ কুমার। আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে তৈরি হয়েছে নয়া জোট সরকার। মোট ৩১ জন বিধায়ককে নিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। বিহারের বৃহত্তম দল হওয়ার জন্য মন্ত্রিসভায় আরজেডির ১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিজের হাতেই রেখেছেন নীতীশ কুমার। মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের অধিকাংশই পেয়েছেন যাদব এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বিধায়করা। পাশাপাশি লালুপ্রসাদ যাদবের দুই ছেলেই মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। তেজস্বী যাদব হয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী।