শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হিন্দি ভাষাকেই ইংরেজির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে সওয়াল অমিত শাহের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ১০:৫৮ এএম | আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৪:৫৮ পিএম

হিন্দি ভাষাকেই ইংরেজির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে সওয়াল অমিত শাহের
হিন্দি ভাষাকেই ইংরেজির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে সওয়াল অমিত শাহের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের ভারত নানা ভাষাভাষীর দশ। এই দেশে বিভিন্ন ভাষার মানুষের বাস। একাধিক সরকার স্বীকৃত ভাষা রয়েছে। আর এই বৈচিত্রই ভারতের ঐক্যের ভিত্তি বলেই মনে করা হয়। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রের শাসকদল ‘এক দেশ- এক ভাষা’র পক্ষে শুরু থেকেই। শুরু থেকেই হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোর সওয়াল করে গেছে বিজেপি। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি ছিল যে, দেশে এমন একটি সার্বজনীন ভাষা থাকা উচিত যা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের পরিচয় বহন করবে। তিনি এও মনে করেন যে, হিন্দি ভাষার সেই ক্ষমতা আছে যে, দেশকে এক সূত্রে বেঁধে রাখার। কিন্তু সে সময় এর প্রতিবাদ হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের সেই ভাবনা এবং দাবি থেকে সরে যাননি। উল্টে বৃহস্পতিবার ফের একবার তিনি হিন্দি ভাষার পক্ষেই জোরালো সওয়াল করলেন। তাঁর পরামর্শ, ‘দেশের বিভিন্ন প্রদেশের ভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের ইংরেজিতে নয়, উচিত হিন্দিতে কথা বলা।’

উল্লেখ্য, সরকারি ভাষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার এই কমিটির ৩৭ তম বৈঠক ছিল। সেখানেই অমিত শাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সরকার পরিচালনা হবে সরকারি ভাষাতেই, যা অবশ্যই হিন্দির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেবে। এখন সময় এসেছে সরকারি ভাষাকে দেশের ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করার। যখন বিভিন্ন রাজ্যের ভিন্ন ভাষাভাষির নাগরিকরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেন, তখন তা ভারতের ভাষাই হওয়া উচিত।’

তিনি দাবি করেছেন যে, কোনও আঞ্চলিক ভাষা নয়, ইংরেজি ভাষার বিকল্প হিন্দি ভাষাই হওয়া উচিত। অমিত শাহ পরামর্শ দিয়েছেন, দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার শব্দ গ্রহণ করে হিন্দি ভাষাকে আরও সহজ ও নমনীয় করার। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হিন্দি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান দেওয়ার পাশাপাশি হিন্দি শিক্ষার পরীক্ষায় আরও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। 

সূত্রের খবর, অমিত শাহ কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন যে, মন্ত্রিসভার ৭০ শতাংশ কাজ এখন হিন্দিতে করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যে ২২ হাজার হিন্দি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এবং ওই অঞ্চলের নয়’টি উপজাতি সম্প্রদায় তাদের উপভাষার লিপিগুলিকে দেবনাগরীতে রূপান্তরিত করেছে। এখানেই শেষ নয়, অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, এই সমস্ত রাজ্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করতে মত দিয়েছে।