বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। কোনোভাবেই নাশকতামূলক কার্যকলাপের সঙ্গে আপোস নয়। এবার বড় ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফে। দেশের মধ্যে সব রাজ্যেই খোলা হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-র শাখা। এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হরিয়ানার সূরজকুণ্ডে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তন শিবির। বৃহস্পতিবার তারই উদ্বোধনে এই ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ।
এদিন তিনি জানিয়েছেন, NIA কে কোনও এলাকায় তদন্তে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না, উল্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে তার থেকেও বেশি অধিকার দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে গিয়েও তদন্ত করতে পারবে NIA। আজকের সভায় অপরাধ এবং সন্ত্রাস ঠেকাতে রাজ্যগুলির সমন্বয়ের উপরেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, রাষ্ট্রদ্রোহ, সাইবার অপরাধ, মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলি নিয়ে একসঙ্গে পরিকল্পনা করায় সাহায্য করবে এই চিন্তন শিবির।
সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে আপোসহীন নীতি অবলম্বন করেছেন কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের সব রাজ্যে এনআইএ-এর শাখা খোলার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র সরকার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে আদতে একটি ফেডেরাল তদন্তকারী সংস্থা গড়ে তুলতে চাইছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টে ছত্তিসগড়ের রায়পুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-র শাখা উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেবারও সব রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার শাখার খোলার কথা বলেছিলেন।
এদিন তিনি আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, ২০২৪ সালের মধ্যে সব রাজ্যে NIA-র শাখা থাকবে। তিনি আরও বলেন যে, তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে এনআইএ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এখানেই শেষ নয়, তিনি আগে এও জানিয়েছিলেন যে, সন্ত্রাস রোখার লক্ষ্যে NIA বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগ রেখে চলবে।
অন্যদিকে, হরিয়ানার সূরজকুণ্ডে চিন্তন শিবিরে উদ্বোধনী ভাষণ দিতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ৩৪ শতাংশ কমেছে বলেও দাবি করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও দাবি, নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদের মৃত্যুর হার কমেছে ৬৪ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :