বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রের মোদী সরকারের ‘অগ্নিপথ’-প্রকল্পের আঁচে পুড়ছে গোটা দেশ। মোদী সরকারের এই প্রকল্পের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদও এর ব্যতিক্রম নয়। সেখানে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ।
কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও গম্ভীর এবং ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে। ক্ষিপ্ত আন্দোলনকারীরা এবং পুলিশের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এরই মধ্যে প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটল সেকেন্দ্রাবাদে। রেলস্টেশনে উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের সরাতে গুলি চালায় পুলিশ। এর জেরে গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ। পাশাপাশি আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
অন্যদিকে, মথুরায় সাধারণ মানুষের উপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। সেখানেও পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তবে, সেখানে প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিহার, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানায় বিক্ষোভ চলছে।
এদিন সকালে থেকেই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব। সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনেও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। ৪-৫ টি ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগানো হয়েছে, ২-৩ টে কোচেও আগুন লাগানো হয়েছে বলেই খবর। জানা গিয়েছে, সেখানেই একদল বিক্ষোভকারী ২৫ টি চার চাকার গাড়ি এবং ৬০ টি বাইকে ভাঙচুর চালিয়েছে।
দুপুরের দিকে ফের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময়ই উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের সরাতে গুলি চালায় পুলিশ। কমপক্ষে ১৭ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তেলেঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার বাসিন্দা এক যুবকের। জানা গিয়েছে, এদিন আচিমকাই পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। ক্ষত গভীর হওয়ায় এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের জেরে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলেই খবর। এদিকে, সেকেন্দ্রাবাদের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার একে গুপ্ত জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। তাই আন্দোলনের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে ট্রেন পরিষেবা।
প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ বিতর্কে রেলের উপর প্রভাব পড়েছে সবেচেয়ে বেশি। ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবা। একাধিক রাজ্যে একাধিক জায়গায় ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের যুব সম্প্রদায়কে অকারণে হিংসায় না জড়ানোর আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আপনার মতামত লিখুন :