রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ফের ভূমিকম্প দিল্লিতে! তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার, কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২, ১০:৩৮ এএম | আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম

ফের ভূমিকম্প দিল্লিতে! তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার, কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও
ফের ভূমিকম্প দিল্লিতে! তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার, কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। শনিবার রাতে, ৮ টা নাগাদ কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি। গতবারের মতো এবারও ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপাল বলেই জানা গিয়েছে। শুধু রাজধানী দিল্লিই নয়, কম্পন অনুভূত হয়েছে নয়ডা, গুরুগ্রামেও। ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কিত মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ান। তবে, বড় কোনও ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই। রিখটার স্কেলে গতকালের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৪।

এদিকে, দিল্লি ছাড়াও শনিবার রাতে কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা ওউত্তরপ্রদেশের একটা বড় অংশে। নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ মন্ত্রক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বাজহাং জেলার পাতাদেওয়ালে রাত ৮ টা বেজে ১২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। তখন ভারতীয় সময় ৭ টা ৫৭ মিনিট। এই ভূমিকম্পের প্রকৃত উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। উল্লেখ্য তিন দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লিতে ভূমিকম্প হল।

এর আগে ৯ নভেম্বর ভোর রাতে ভূমিকম্প হয়েছিল রাজধানী দিল্লিতে। তারও উৎসস্থল ছিল নেপাল। সেই ভূমিকম্পে নেপালে ৬ জনের মৃত্যুর খবরও মেলে। সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। এবারের মতোই কম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে, এবার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। কম্পনের মাত্রা কম হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কাও কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বারবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে নেপাল। এর প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারতের শহরগুলোতে। গত ১৯ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.১। আবার এর আগে চলতি বছরেই জুলাই মাসে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। সেই কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৬। কম্পনের এপিসেন্টার ছিল কাঠমান্ডুর খাতং জেলা। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভীত বিজ্ঞানীরা। ভূমিকম্পের ভয়ে ভীত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল। কম্পনের মাত্রা হতে পারে রিখটার স্কেলে ৭ বা তারও বেশি। সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ব্যাপক। তবে, বিজ্ঞানীদের আশা একটু সতর্ক হলেই এই বিপদ আটকানো যেতে পারে। তাঁদের সতর্কবার্তা এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি রোখা সম্ভব।