বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি মাসের শেষে ত্রিপুরায় ৪ আসনে রয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচার উপলক্ষে ত্রিপুরায় গেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ত্রিপুরায় বিশাল র্যালি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। র্যালি শেষে, এদিন অভিষেক বরদোয়ালি বিধানসভার অন্তর্গত জিবি বাজারে সভাও করেন।
আজ সেই সভা থেকেই তৃণমূলের এই সাংসদ বিরোধী দল বিজেপির পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। এমনকি এদিন তিনি তাঁর ভবানীপুরের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়েও মুখ খোলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা একটু অন্যরকম দল। আমাদের ধমকে চমকে লাভ হবে না।’ এরপরই ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদল থেকে শুরু করে তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেখুন আজ আমি এখানে এসেছি বলে আমার স্ত্রীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমি যাতে এখানে আর না আসতে পারি। কিন্তু আমাদের দল অন্যরকম, ধমকে চমকে লাভ হবে না। অন্যদলের মতো আমরা চুপ করে বসে থাকব না। একদিকে পাথর ছুঁড়ছে তো অন্যদিকে সিবিআই পাঠাচ্ছে।’
এদিন উপনির্বাচনের প্রচারে ত্রিপুরায় গিয়ে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল করলেন না। তাহলে ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল কেন? কারণ তৃণমূল এখানে এসেছে। ভয় পেয়েছে ওরা।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কিন্তু তোমার তো কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে, তাপ্পি দিয়ে কীভাবে চলবে? যতদিন এগিয়েছে ততো ভীত হয়ে পড়েছে বিজেপি। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে, ২০২৩ সালে সরকার বদলাবে।’
তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মানুষ যেভাবে তাঁদেরকে গ্রহণ করেছে, সেজন্য তাঁরা বাধিত। তিনি বলেন, মাত্র ১০ মাস আগে ত্রিপুরায় তাঁদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। যত দিন এগিয়েছে, বিজেপি ভয় পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগেও এসেছেন এবং ২০ তারিখ ফের আসবেন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এদিন বলেন, ‘ত্রিপুরায় পরিবর্তন আসবেই। বিজেপির নৌকা ডুবতে চলেছে, নতুন চালক কিছুই করতে পারবেন না।’
অভিযোগের সুরে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখে বলে, আচ্ছে দিন আসছে। কোথায় আচ্ছে দিন? বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন বলে রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। বাংলায় হেরেছে বলে দু’বার পেট্রলের দাম কমিয়েছে বিজেপি।’ তাঁর মতে, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার স্রেফ ভাঁওতাবাজি, দু-নম্বরি। ডবল চোরের সরকার। ওদিকে দিল্লিতে বলছে চুরি করুন। এদিকে ত্রিপুরায় বলছে চুরি করুন। ওখানে সিবিআই-ইডি কিছু বলবে না, এখানে ত্রিপুরা পুলিশও কিছু বলবে না।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আরও অভিযোগ, ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা খুবই খারাপ। এককথায় জরাজীর্ণ অবস্থা। মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলছে হাসপাতাল। তাঁর দাবি, বর্তমানে বেকারত্বে সবার আগে রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। এর মধ্যে রয়েছে গোয়া, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ-সহ আরও বেশ কিছু রাজ্য। তিনি এও বলেন, তিনি আসবেন শুনলেই বিজেপি উপদ্রপ শুরু করে ত্রিপুরায়। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল কথা দিলে কথা রাখে, কিন্তু বিজেপি ভাঙ্গা ক্যাসেটের মত। বিজেপির কথা কেবল শোনা যায় কিন্তু দেখা যায় না। ’
আপনার মতামত লিখুন :