শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

মিষ্টি কথায় অনেকেই ফেঁসে যেতেন! ডাক্তার পরিচয়ে সাত রাজ্যে ১৪ টা বিয়ে, অবশেষে পুলিশের জালে প্রৌঢ়

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ১০:৪৬ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৫:৩৫ এএম

মিষ্টি কথায় অনেকেই ফেঁসে যেতেন! ডাক্তার পরিচয়ে সাত রাজ্যে ১৪ টা বিয়ে, অবশেষে পুলিশের জালে প্রৌঢ়
মিষ্টি কথায় অনেকেই ফেঁসে যেতেন! ডাক্তার পরিচয়ে সাত রাজ্যে ১৪ টা বিয়ে, অবশেষে পুলিশের জালে প্রৌঢ়

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কী ক্ষমতা! কথায় বলে, ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। একবারের বিয়েতেই রক্ষে নেই, এই বৃদ্ধ এক নয় ১৪ টা বিয়ে করছেন। তাঁর মিষ্টি কথায় খুব সহজেই ভুলে যেতেন মহিলারা। তাঁর শিকারের তালিকায় কে নেই, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, আধাসেনায় কর্মরত মহিলা, এমনকি বেশ কয়েক জন উচ্চশিক্ষিত মহিলারাও রয়েছেন। ৪৮ বছরে দিল্লি, পঞ্জাব, অসম, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা-সহ সাত রাজ্যে ১৪টি বিয়ে করে, অবশেষে বছর ৬০-এর ব্যক্তি পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বিধুপ্রকাশ সোয়েন। সোমবার তাঁকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ার পাতকুড়া থানার বাসিন্দা। বিয়ে সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলিতে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে ভাব জমাতেন। তাঁর শিকার ছিল মূলত মাঝবয়সী অবিবাহিত মহিলা ও ডিভোর্সিরা। এভাবেই এক এক করে ফাঁদে ফেলেন মহিলা চিকিৎসক থেকে শুরু করে আধাসেনায় কর্মরত মহিলা, আইনজীবী ও উচ্চশিক্ষিত মহিলাদেরও। 

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের প্রথম শিকার ১৯৮২ সালে। ওই বছরে এক মহিলাকে বিয়ে করেন বিধুপ্রকাশ। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ২০০২ সালে। এদিকে, ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ঊমাশঙ্কর দাশ জানিয়েছেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মোট পাঁচ সন্তান। এরপরী ২০০২ সাল থেকে শুরু করে ২০২০-র মধ্যে বিবাহ সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন। সম্পূর্ণভাবে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করার পরই বিয়ের প্রস্তাব এবং বিয়ে করতেন। আশ্চর্যয়ের বিষয়, এখনও পর্যন্ত যতজনকেই বিয়ে করেছেন তাঁরা কেউই এই ব্যক্তির আগের বিয়ের কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারতেন না। 

ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন যে, বিয়ে করাই অভিযুক্তের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল চাকরিজীবী মহিলাদের বিয়ে করে তাঁদের টাকাপয়সা আত্মসাৎ করা। প্রতিবারই তিনি স্ত্রীদের টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যেতে পেরেছেন। 

কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হল না। পুলিশ জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে এক শিক্ষিকা ভুবনেশ্বরে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক ব্যক্তি তাঁকে ২০১৮-য় দিল্লিতে বিয়ে করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসেন। ওই ব্যক্তি আগে বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন এমনও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। শিক্ষিকার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই সোমবারই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের কাছ থেকে ১১টি এটিএম কার্ড, চারটি আধার কার্ড এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।