শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বয়সকে তুড়িতে উড়িয়ে ৫৮ বছর বয়সে ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ ওড়িশার বিধায়কের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২২, ০৬:৩৩ পিএম | আপডেট: জুলাই ১২, ২০২২, ১২:৫৫ এএম

বয়সকে তুড়িতে উড়িয়ে ৫৮ বছর বয়সে ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ ওড়িশার বিধায়কের
বয়সকে তুড়িতে উড়িয়ে ৫৮ বছর বয়সে ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ ওড়িশার বিধায়কের

কথায় বলে, শিক্ষার কোনও বয়স নেই! আগ্রহ আর মনের জোর থাকলেই যে কোনও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে শিক্ষা অর্জন করে ফেলতে পারেন মানুষ। অদম্য ইচ্ছেশক্তির জোরে স্বপ্ন সফল করে গড়তে পারেন দৃষ্টান্ত। ঠিক সেটাই করে দেখালেন ওড়িশার অঙ্গদ কানহার (MLA Angada Kanhar)। যাঁর পরিচয় ওড়িশার ফুলবনির বিজু জনতা দলের (BJD) বিধায়ক হিসেবে। সেই তিনিই এবার ৫৮ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাশ করে তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে।

গত বুধবারই বিএসই ওড়িশা ম্যাট্রিক পরীক্ষার প্রকাশিত হয়েছে৷ আর ফলপ্রকাশের পরই দেখা যায় ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ফুলবনির বিজেডি বিধায়ক। ৫০০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৩৬৪। ঘটনাচক্রে, অঙ্গদ কানহারের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল ১৯৭৮ সালে৷ তবে পারিবারিক নানা কারণে সেই পরীক্ষায় আর বসা হয়নি। এরপর রাজনীতির জগতে নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ফলে এতদিন ম্যাট্রিক পরীক্ষা আর দেওয়া হয়নি।

তবে মনের মধ্যে ছিল প্রবল ইচ্ছে৷ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কোনওদিন হারাননি অঙ্গদ কানহার। অবশেষে তাই ২০২২ সালে এসে পরীক্ষায় বসেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভালো নম্বর পেয়ে সসম্মানে উত্তীর্ণও হলেন৷ সমাজের কাছে স্থাপন করলেন এক দৃষ্টান্ত। দেখিয়ে দিলেন ইচ্ছে থাকলে উপায় ও হয়৷ সেখানে বয়স কেবল এক সংখ্যা মাত্র!

জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে ম্যাট্রিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর অঙ্গদ কানহার বলেন, "আমি খুবই খুশি যে আমি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেছি। শিক্ষা অর্জনের বা নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে কোনও বয়স নেই।" তাঁর আশা, এবার হয়তো তাঁকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে। অনেকেই তাদের স্কুলের শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে চাইবে। তাঁর এই সাফল্যের কাহিনী যেন বাকিদেরও পথ দেখাক, এটুকুই শুধু তাঁর চাওয়া। তবে ম্যাট্রিক পাশ করে মোটেও থেমে থাকতে চান না এই বিধায়ক। নিজের পড়াশোনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।

প্রসঙ্গত, অঙ্গদ কানহারই একমাত্র রাজনীতিবিদ নন, যিনি এই পরীক্ষায় বসেন। তাঁর সঙ্গে পরীক্ষা দেন এক বন্ধুও। যিনি পঞ্চায়েত প্রধান। পরীক্ষার পর গত ৬ জুলাই ফলপ্রকাশ হয়। তখনই দেখা যায়, ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করেছেন কানহার৷