বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অন্ধ্রপ্রদেশের গ্যাস লিকের সেই ভয়াবহতা এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই আবারও গ্যাস লিকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। এবার ঘটনাস্থল হরিয়ানা। জানা গিয়েছে, বুধবার হরিয়ানার ঝজ্জরে একটি আবর্জনা ফেলার ট্যাঙ্ক থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় কারখানায় কর্মরত ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আরও দুইজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে হরিয়ানার ঝজ্জরের বাহাদুরগড়ের রোহাদ নামক গ্রামে ওই কারখানা রয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্যাস কিট পেপার তৈরি করা হত ওই কারখানায়। বুধবার দুপুরে ওই কারখানার বর্জ্য ফেলার ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। ট্রাক্টরের সঙ্গে পাইপ লাগিয়ে বর্জ্য তোলা হচ্ছিল। সেই সময় এক শ্রমিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন পাইপটি ঠিকভাবে ট্যাঙ্কের ভিতরে রাখতে। কিন্তু ট্যাঙ্কে নামতেই বিষাক্ত গ্যাস তাঁর নাকে লাগে, এবং সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এদিকে, সহকর্মীকে বর্জ্যের ট্যাঙ্কের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাকি ৫ শ্রমিক তাঁকে তোলার জন্য ট্যাঙ্কে নামেন।
এরপর কোনমতে ওই ৬ জন বাইরে আসতে পারলেও, ততক্ষণে বিপদ যাওয়া হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তাঁদের শরীরে ঢুকে গেছে গিয়েছে বিষাক্ত গ্যাস। কারখানার বাকি কর্মীরা ওই ৬ জন শ্রমিককে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুই শ্রমিক বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে ঝাজ্জরের ডেপুটি কমিশনার ক্যাপ্টেন শক্তি সিং জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিল্পাঞ্চলে সুরক্ষা ও দমকল বিভাগকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। কারখানার বাকি কর্মীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই ট্যাঙ্কে কারখানার যাবতীয় বর্জ্য় ও রাসায়নিক তরল বর্জ্য ফেলা হত। দীর্ঘদিন ধরে ট্যাঙ্কের মুখ বন্ধ করা ছিল। বুধবার ওই শ্রমিকেরা ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামলেই বিপত্তি ঘটে। বিষাক্ত গ্যাস তাঁদের নাকে যায় এবং বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয় চার শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, অসুস্থ দুইজন শ্রমিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে যে, কেন কারখানার কর্মীদের দিয়েই ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করানো হচ্ছিল? গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :