শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

চলন্ত ট্রেনে এক মহিলাকে হেনস্তার অভিযোগ! দুই বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ১১:৪০ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২২, ০৫:৪৭ এএম

চলন্ত ট্রেনে এক মহিলাকে হেনস্তার অভিযোগ! দুই বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ
চলন্ত ট্রেনে এক মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ! দুই বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপিশাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে বিরোধী দলের দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের দুই কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই ওই দুই বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলন্ত ট্রেনে ওই মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশের দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, কোটমার বিধায়ক সুনীশ সরফ এবং সাতনা বিধায়ক সিদ্ধার্থ কুশওয়াহা এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার রেওয়াঞ্চল এক্সপ্রেসের এসি কামরায় তাঁরা যাচ্ছিলেন, সেই সময় ঘটে ওই ঘটনাটি। পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় ওই দুই বিধায়ক ট্রেনে উঠেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এমনই।

এদিকে, ওই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে যে মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল, তিনি তাঁর শিশুকে নিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর স্বামীকে ফোনে দুই বিধায়কের ব্যবহারের কথা জানিয়েছিলেন। এরপর একাধিক পরপর করা টুইটে ওই মহিলার স্বামী রেলওয়ে মন্ত্রক ও রেল পুলিশকে ঘটনার কথা জানায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামীর অভিযোগ পাওয়ার পরে, মাঝপথে তাঁর ট্রেনের সিট বদল করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথ অভিযুক্ত দুই বিধায়কের থেকে এই ঘটনার বিষয়ে জবাব তলব করেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি কমিটিও তৈরি করেছেন তিনি।

আবার অভিযুক্ত এক কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্ধার্থ কুশওয়াহা এক সর্ব ভারতীয় সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই ধরনের কিছু হয়নি। আমাদের আসনে বসে তিনি কী করছিলেন? আমাদের দিক থেকে এমন কিছুই করা হয়নি। আমরা কাটনি অবধি ট্রেনের দরজাতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।’ আবার অপর অভিযুক্ত কংগ্রেস বিধায়ক সুনীশ সরফ বলেন, ‘অন্যান্য যাত্রীরাও ট্রেনে ছিলেন, কেউ কিছুই বলেননি। ওই মহিলা আমাদের বার্থে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁর বাচ্চা ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিল। পুলিশ আসার পর আমারা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পারি।’