বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা বলা যায় একপ্রকার সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। এখন শিক্ষা ব্যবস্থায় গুন্ডাগিরি, টুকলি অবাধ। আসলে ভুরি ভুরি নম্বরের জেরে এখন পড়াশোনা হারিয়েছে তার গরিমা। ছাত্ররা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। আর এবার তারই বলি হল এক ছাত্র।
দশমের বোর্ড পরীক্ষায় টুকলি করতে দেয়নি এক সহপাঠী। সেই ক্ষোভে ছাত্রদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় জোরদার মারপিট। তারপরই চলে গুলি। আর সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। গুলিবিদ্ধ আরও এক ছাত্র। স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাম রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক নাবালককে।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিহারের সাসারামের রোহতক জেলায় ঘটেছে এমনই ঘটনা। মৃত ছাত্রের পরিবার ন্যায় বিচার দাবিতে দিল্লি-কলকাতা ন্যাশনাল হাইওয়ে অবরোধ করে। চলে বিক্ষোভ। পরীক্ষায় টুকলি করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
জানা গেছে, সাসারামের ধৌধাদ এলাকার সেন্ট আন্না বিদ্যালয়ে চলছিল বিহার বোর্ডের দশম শ্রেণীর পরীক্ষা। আর ওই কেন্দ্রেই পরীক্ষা চলাকালীন টুকলি করাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে দুই ছাত্রের মধ্যে। যদিও সাময়িকভাবে মিটে যায় ঝামেলা।
তবে এই ঝামেলার আঁচ গড়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় হাতাহাতি শুরু হয় স্কুলের বাইরে। তবে হাতাহাতিতে সীমাবদ্ধ ছিলনা এই ঘটনা। চলে গুলি। অমিত কুমার ছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয় সহপাঠী সুমিত কুমারও। উত্তর পত্র না দেখানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এই ঝামেলা। মৃত ছাত্রের সহপাঠীদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পুরো ঘটনায় সুমিত কুমার নামক দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়াই যুক্ত বলে অভিযোগ।