মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাড় হিম করা কিছু খুনের খবর আমাদের সামনে আসে। যেমন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় ট্যাংরা কাণ্ড রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে মানুষের মনে। নিজের হাতে বৌদি, বউ নিজের কন্যা সন্তানকে খুন করেছেন অভিযুক্ত প্রসুন দে। কিভাবে নিজের সন্তানকে খুন করতে পারলেন এই প্রশ্নই এখন সবার মনে।
এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশে এক মায়ের নিজের তিন সন্তানকে কুয়োয় ফেলে মেরে ফেলার ঘটনাও ভয় ধরায়। আর এবার বাবার আক্রোশের শিকার হলো এক শিশু সন্তান। কি অপরাধ করেছিল পাঁচ বছরের ওই শিশু কন্যা? বাবা বারণ করেছিল। কিন্তু বাবার কথা না শুনে প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। আর এই অপরাধে নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
শুধুই কি খুন? এতটাই তার রাগের তীব্রতা যে খুনের পর নিজের সন্তানের দেহকে চার টুকরো করে কাটতে ও তার হাত কাঁপেনি। উত্তর প্রদেশের সিতাপুরে ঘটেছে এই নির্মম ঘটনা। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। কিন্তু কেন এমন পাশবিক ঘটনা ঘটায় ওই যুবক?
জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে যার বাড়িতে যাওয়াকে ঘিরে এই ঘটনা সেই প্রতিবেশী রামুর পরিবারের সঙ্গে একসময় তাদের ভালোই সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে কোন একটি বিষয়কে নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাতায়াত। কিন্তু ৫ বছরের ছোট্ট ওই শিশু কন্যা যেতে ভালোবাসতো ওই বাড়িতে।
যদিও বাবা নিষেধ করেছিল। কিন্তু বাবার নিষেধ অমান্য করেই ওই বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল সে। আর এতেই মেজাজ বিগড়ে যায় পাষণ্ড বাবার। বাড়ি ফিরে মেয়েকে বাইকে তুলে নিয়ে যায় নির্জন জায়গায়। নিজের মেয়ের গায়ের জামা দিয়েই তার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। এরপর দেহ চার টুকরো করে পাশের সর্ষে খেতে ফেলে দেয়। একজন বাবাও এইরকম হতে পারে? এই নারকীয় ঘটনায় রীতিমতো চমকে উঠেছে দেশ।