তিনি ভারতীয়দের নয়নের মনি। বাঙালির কাছে আবেগের অন্য নাম। তার গানের অনুভূতি মন ছুঁয়ে যায় শ্রোতাদের। তার গানের গলার পাশাপাশি মানুষটাও বড্ড ভালোবাসেন দেশবাসী। মাটিতে পা দিয়ে আজও আকাশে উড়ান ভরার স্বপ্ন দেখেন তিনি। শুধু কি দেশ? বিদেশেও তার অবাধ জনপ্রিয়তা।
সঙ্গীত জগতে বড্ড অপরিহার্য নাম তিনি। রোমান্টিক গান হোক বা ট্রাজেডি, বা মন ভাঙার গান সবেতেই অনবদ্য তিনি। একটা সময় জনপ্রিয় সংগীত পরিচালকদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। সেখান থেকেই মেলে বলিউডে প্লেব্যাকের প্রথম সুযোগ।‘মার্ডার টু’ ছবির ‘ফর মহব্বত’ গানে গলা মেলানোর সুযোগ পান তিনি। বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই কার কথা বলছি তিনি বাঙালির গর্ব ভারতবাসীর প্রাণের মানুষ অরিজিৎ সিং।
২০১৩ সালে ‘আশিকি ২’ ছবির টাইটেল ট্র্যাক ‘তুম হি হো’ গানটি তাঁকে রাতারাতি পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার শিখরে। এই গান তাকে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়া দেয়। তার সেই জনপ্রিয়তা আজও অটুট। সাফল্যের শিখরে উঠে হারিয়ে যাননি তিনি বরং টিকে গেছেন। হয়ে উঠেছেন বলিউডের গানের জগতের হিট গায়ক। এখন অরিজিৎ যাই গান সেটাই হিট।
এত সাফল্যের পরেও আজও তার পা মাটিতে। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন। সবার ভিড়ে মিশে থাকতে চান। লাইম লাইট থেকে সর্বদাই দূরে থাকেন তিনি। আর সেই জন্যই তো তিনি সবার এত প্রিয়। যদিও অরিজিত এক একটি গান থেকে বেশ ভালো রকমের অর্থই কামান। আবার চ্যারিটিও করেন।
তবে জানেন কি গায়কের কেরিয়ারে এমন একটি গান রয়েছে যার জন্য তিনি লক্ষ টাকা কি ১০০ টাকাও নেননি। হ্যাঁ নিয়েছিলেন মাত্র ১১ টাকা। তা কোন গান সেটি? আসলে মানবজমিন ছবির রামপ্রসাদী গান ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না, আবাদ করলে ফলত সোনা’। এই গানটির জন্য মাত্র এগারো টাকা নিয়েছিলেন গায়ক বলে জানা যায়।