আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। বাঙালির দৌড়গোরায় এসে গেছে পুজো। আর দুর্গাপুজোর ৭ দিন আগে মহালয়া হয়ে থাকে তা আমরা সকলেই জানি। এদিন পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে থাকে। মহালয়ার দিন ভোর ভোর উঠে মহালয়া দেখার এক আলাদায় আনন্দ। ছোটো থেকে বড় অনেকেই এদিন ভোরবেলায় বাজি ফাটিয়ে থাকে।
অন্যদিকে এই দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি রয়েছে। তাই ভরবেলা থেকেই বহু মানুষ তাঁদের পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে যান। তবে হিন্দু ধর্মে এই বিশেষ দিনটির গুরুত্বও অনেক। এই দিনের এক বিশেষ তাৎপর্যও রয়েছে। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। আর দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয়।
মহালয়ার তাৎপর্য: কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর ছিলেন অমর। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে পরাজয় নিশ্চিত ছিল তাঁর৷ অন্যদিকে অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা কোনো কূল পাচ্ছিলেন না, সে সময় ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন।
মহালয়া থেকেই পুজো কাউনডাউন শুরু হয়ে যায়। আর মহালয়ার পরের দিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের। মহালয়ার দিনটি শুভ বলেই মনে করা হয়। আর তাই নিজেদের জীবনের নানা বাধা বিপত্তি দূর করতে এদিন এই মন্ত্রগুলি অবশ্যই জপ করুন। চলুন দেখে নেওয়া যাক মন্ত্রগুলি..
জীবনে নানা বাধা-বিপত্তি নাশের জন্য একশো আট বার জপ করুন এই মন্ত্র – ‘শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণ-পরায়ণে। সর্বস্যার্তিহরে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে’
সৌভাগ্য লাভ এবং পরিবারের সুস্থতা কামনায় একশো আট বার জপ করুন এই মন্ত্র – ‘দেহি সৌভাগ্যমারোগ্যং দেহি দেবী পরং সুখম। রুপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি’।
সমস্ত রকমের বিপদের হাত থেকে মুক্তি লাভের জন্য জপ করুন – ‘ওঁ হ্রীং দুর্গে দুর্গে রক্ষণী রক্ষণী স্বাহা’।
শত্রু নাশের জন্য এই মন্ত্র একশো আট বার জপ করুন – ‘সর্ব বাধা প্রশমনং ত্রৈলোক্যস্যাখিলেশ্বরী। এবমেব ত্বয়া কার্যমন্মদ বৈরী বিনাশনম’।
আপনার মতামত লিখুন :