দৌড়গোরায় এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছর আমরা যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি আর সঙ্গে পেট পুজো। পুজোতে ঘোরাঘুরির সাথে সাথে জমিয়ে পেটপুজো কিন্তু হওয়ায় চাই। আর আমরা বাঙালিরা তো একটু পেটুক তা বলাই চলে।
দুর্গাপুজোর আগে প্রতিটি বাঙালির বাড়িতেই নানা রকমের মিষ্টি, নিমকি তৈরি হয়েই থাকে। পুজোতে কেউ বাড়ি এলে তাঁকে বাড়ির তৈরি মিষ্টিই দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া দশমীর মিষ্টিমুখ করতেও আমরা বাড়িতেই মিষ্টি তৈরি মরে থাকি। তবে বর্তমানে মানুষের রোগের পরিমাণ এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে অনেকে বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করতে পারেন না, তাদের ক্ষমতায় কোলায় না। তাঁরা মিষ্টির দোকান থেকেই নাড়ু, নিমকি, মিষ্টি কিনে আনেন। তবে আজ তোমাদের জন্য দশমী স্পেশাল মিস্টি চমচম তৈরির সহজ রেসিপি। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক..
এবার দেখে নেওয়া যাক চমচম তৈরির জন্য কী কী লাগবে - দুধ সাড়ে পাঁচ কাপ, চার টেবিল চামচ ভিনেগার, দুই চা চামচ সুজি, পাউডার চিনি আড়াই কাপ, এক চিমটে বেকিং পাউডার, চার কাপ জল.
এবার দেখে নেওয়া যাক কীভাবে চমচম আমরা বাড়িতেই তৈরি করে নেব – প্রথমেই দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর ভিনিগার এর সাথে সামান্য জল মিশিয়ে দুধের সাথে মিশিয়ে দিন। ছানা কেটে গেলে একটা পরিষ্কার কাপড়ে ঢেলে দিন। এবার ছানার ওপর কিছুটা জল ঢেলে দিন। এবার কাপড় টা ভালো করে নিকড়ে দিন। তারপর ছানার জল ঝরতে দিন ভালো করে। ছানার জল ঝরে গেলে একটি বড় থালায় ছানা টা নিয়ে ভালো করে ঠাসুন। ভালো করে মেখে তারমধ্যে সুজি দিন। সুজি দিয়ে আবার ভালো করে মেখে নিন।
এবার তারমধ্যে এক চিমটে বেকিং পাউডার দিন আর ভালো করে ঠেসে খানুন। মাখা হয়ে এলে লেচি কেটে নিন। এবার হাতে ঘি মাখিয়ে লেচিগুলি চমচমের আকারে গড়ে নিন। অন্যদিকে কড়াই গরম করে জল ও পাউডার চিনি দিয়ে চিনির রস তৈরি করে নিন। এরপর চিনির রসে তৈরি করে রাখা চমচমগুলি দিয়ে দিন। ২০ মিনিট মতো হাই গ্লেমে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
তারপর তিন ঘণ্টা মতো মাঝারি ফ্লেমে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় এক কাপ করে গরম জল মেশাতে ভুলবেন না। চমচম এর রঙ পরিবর্তন হলে চেঞ্জ হয়ে এসেছে। এলাচ ছড়িয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রান্না করে নামিয়ে দিন। তাহলেই রেডি চমচম।
আপনার মতামত লিখুন :