মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলার এই ৩ সতীপীঠে জাঁকজমক করে আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো!

প্রিয়াঙ্কা রায়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৫:৫৬ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৩:৩২ এএম

বাংলার এই ৩ সতীপীঠে জাঁকজমক করে আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো!
বাংলার এই ৩ সতীপীঠে জাঁকজমক করে আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো!

ইতিমধ্যেই পুজোর কাউনডাউন শুরু হয়ে গেছে।  মহালয়া পার করে আজ দ্বিতীয়া। আর মাত্র কটা দিন। তারপরেই হাজির হবে আমাদের দীর্ঘ একবছরের অপেক্ষার পুজো, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। পুজো পুজো রব ইতিমধ্যে আকাশে বাতাসে বইছে। কারন মহালয়া পেরলেই পুজো শুরু হয়ে যায় বলাই চলে। 

আমরা সকলে এই ৫ দিনের মহাপুজো অর্থাৎ মহাষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মহামায়ার আরাধনায় মেতে থাকি। আর মা দুর্গার সতীপীঠের কথা আমরা সকলেই জানি। পিতা প্রজাপতি দক্ষ এর মুখে স্বামীর অপমান শুনে দেবী সতী দেহত্যাগ করেছিলেন। আর সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে মহাদেব তান্ডব শুরু করেছিলেন। 

তখন মহাদেবের তান্ডব থামাতে ভগবান বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র এর দ্বারা সতীর দেহ খন্ড – বিখন্ড করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে গিরিরাজ হিমালয়ের গৃহে সতী পার্বতী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। উল্লেখ্য সতীর দেহের অংশ যে যে স্থানে পড়েছিল তা সতীপীঠ হিসেবে পরিচিত। বাংলায় বেশকিছু সতীপীঠ রয়েছে। তারমধ্যে তিন সতীপীঠে জাঁকজমক করে আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো। চলুন দেখে নিই কোন তিনি সতীপীঠে জাঁকজমক করে আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো..

বক্রেশ্বর – বাংলার মধ্যে অন্যতম একটি সতীপীঠ হল বক্রেশ্বর। এটি বীরভূম জেলায় অবস্থিত। এখানে সতীর ভ্রু যুগলের মধ্যস্থল অর্থাৎ মন পড়েছিল এখানে। এই স্থানে খুব ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। 

বহুলা - বাংলার মধ্যে আরও একটি সতীপীঠ হল বহুলা। এটি অবস্থিত পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। এখানে সতীর বাম বাহু পড়েছিল বলে জানা যায়। এখানেও খুবই জাঁকজমক করে দুর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে। এখানে দেবী চতুর্ভুজা ও পদ্মের ওপর বিরাজ করেন। দেবীর সঙ্গে থাকেন মহাদেব ও পুত্র গণেশ। 

বর্গভীমা - বাংলার মধ্যে আরেকটি সতীপীঠ হল বর্গভীমা। এটি অবস্থিত পূর্ব মেদিনীপরে তমলুক শহরে। এখানে সতীর বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল বলে জানা যায়। এখানেও খুবই জাঁকজমক করে দুর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে।