দশমী দুপুরে বানিয়ে নিন মুড়ি ঘন্ট! দেখে নিন স্পেশাল রেসিপিটি

দৌড়গোরায় এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছর আমরা যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি আর সঙ্গে পেট পুজো। পুজোতে ঘোরাঘুরির সাথে সাথে জমিয়ে পেটপুজো কিন্তু হওয়ায় চাই। আর আমরা বাঙালিরা তো একটু পেটুক তা বলাই চলে। 

দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন থেকে অষ্টমীর দিন পর্যন্ত নিরামিষ খাবার-দাবার খেয়ে থাকেন প্রায় অনেকেই। অনেকেই আছেন ষষ্ঠী পালন করেন আবার বেশিরভাগ মানুষই অষ্টমী পালন করে থাকেন। তাই ষষ্ঠীর থেকে অষ্টমী প্রায় বাড়িতেই নিরামিষ হয়ে থাকে। আর নবমীর স্পেশাল মেনু তো মাংস জানা কথা। 

তবে দশমীতে মায়ের বিদায়। আর মাছকে আমরা শুভ বলে মনে করে। মাছ যাত্রা শুভ একথা বলেই থাকি আমরা। তাই এদিন মা দুর্গার বিদায়ের জন্য তাঁর যাত্রা শুভ করে তোলার জন্য মাছের গায়ে সিঁদুর লাগিয়ে বাড়ির সদর দরজায় রাখা হয় যখন ঘট বিসর্জন করা হয় তখন। আর এদিন প্রায় বাড়িতেই দুপুরের পদে মাছ রাখা হয়ে থাকে। তাই আজকের স্পেশাল রেসিপি মুড়ি ঘন্ট। চলুন দেখে নিই রেসিপিটি..

মুড়ি ঘণ্ট তৈরি করতে যা যা লাগবে - বড়ো সাইজের মাছের মাথা, ৩০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল, ১ টি আলু বড়ো ডুমো ডুমো করে কাটা, আদা-পেঁয়াজ-রসুন পেস্ট, গরম মশলা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, গোটা গরম মশলা, গোটা জিরে, ঘি, তেল, পরিমাণ মতো হলুদ, স্বাদ মতো নুন ও চিনি।  

রন্ধন প্রণালী – প্রথমে মাছের মাথা ভালো করে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। এবং চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রেখে দিন। এবার গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে গরম করে নিন। এরপর কড়াই গরম হলে সামান্য তেল দিয়ে চাল ভালো করে ৫ মিনিট ভেজে নিন। তাপর চাল তুলে রাখুন। এরপর মাছের মাথা হালকা আঁচে কড়া করে ভেজে নিতে হবে। এবার বালি তেলে তেজপাতা, গোটাগরম মশলা, জিরে, লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে কেটে রাখা আলু দিয়ে দিন। তাতে সামান্য নুন হলুদ দিয়ে দিন। 

এবার আদা-রসুন ও পিঁয়াজ পেস্ট দিয়ে ভালো করে কষুন। এবার একে কে গোলমরিচ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও স্বাদ মতো নুন, মিষ্টি ও হলুদ দিয়ে ভালো করে কষে নিন। এবার মশলা কষা হয়ে গেলে জল দিয়ে চাল দিয়ে দিন। তারপর চাল ও মশলা ভালো করে কষিয়ে মাছের মাথা ভেঙে ভেঙে দিয়ে দিন। এবার গ্যাস লো ফ্লেম করে ঢাকা দিয়ে দিন। চাল, আলু সেদ্ধ হলে ঘি, গরম মশালার গুঁড়ো ছড়িয়ে ভালো করে মিশিয়ে স্বাদ দেখে নামিয়ে নিন।