দৌড়গোরায় এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছর আমরা যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি আর সঙ্গে পেট পুজো। পুজোতে ঘোরাঘুরির সাথে সাথে জমিয়ে পেটপুজো কিন্তু হওয়ায় চাই। আর আমরা বাঙালিরা তো একটু পেটুক তা বলাই চলে।
দুর্গাপুজোর অষ্টমী মানেই লুচি, কুমড়োর তরকারি। এদিন সকালে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে সব বাড়িতেই লুচি খাওয়ার পর্ব শুরু হয়। অনেকে অষ্টমীর সন্ধিপুজো হওয়ার পরই খাবার খান। তবে এদিন আর অন্যকিছুর পর্ব থাকে না। সারাদিন রাত লুচির পর্ব চলে। তবে লুচির সাথে তো কুমড়োর তরকারি আমরা খেয়েই থাকি। তাই এবার অষ্টমীর জলখাবারে লুচির সাথে থাকুক কষা আলুর দম।
আলুর দম তো আমরা বাড়িতে অনেক সময় রান্না করেই থাকি। আর আমিষ রান্না হিসেবেও করে থাকি। তবে অষ্টমী স্পেশাল রান্না বলে কথা তা তো একটু স্পেশাল ভাবে রান্না করতেই হবে। তাই এবার অষ্টমীতে রান্না করুন সুস্বাদু কষা আলুর দম। তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক স্পেশাল রেসিপি।
কষা আলুর দম তৈরি করতে যা যা লাগবে - ৫০০ গ্রাম আলু, আদা ও জিরে বাটা, টমেটো কুচি, শাহী গরম মশলা গুঁড়া, কাশুরি মেথী, হিং, কাজুবাদাম বাটা, মটরশুঁটি, ঘি, কাঁচা লঙ্কা চেরা, স্বাদমতো নুন ও চিনি, পরিমাণ মতো হলুদ, সর্ষের তেল ও জল।
রন্ধন প্রণালী – প্রথমে আলু বরফি আকারে কেটে ধুয়ে নিন। আর মটরশুঁটি ছাড়িয়ে রাখুন। মটরশুঁটি ভাপিয়ে নিতে পারেন। এবার কড়াই গরম করে তেল দিন। তেল গরম হলে কেটে রাখা আলু ভালো করে ভেজে নিন। আলু একটু খরা করে ভেজে তুলে নিন। এবার তেলে তেজপাতা, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। তারপর সামান্য হিং দিন। এবার বাটা মশলা দিয়ে দিন। সামান্য হলুদ ও স্বাদমত নুন ও চিনি দিন।
এবার ভালো করে মশলা কষুন। মশলা ভালো করে কষা হয়ে গেলে ভেজে রাখা আলু ও মটরশুঁটিগুলি দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে কষতে থাকুন। এবার শাহী গরম মশলা দিন সামান্য। এবার জল দিন সামান্য দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। কিছুক্ষন পর ঢাকা খুলে দিন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে জল শুকনো করে দিন। তারপর নুন, মিষ্টি দেখে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
আপনার মতামত লিখুন :