স্ত্রী হিসেবে কেমন রচনা? নিজেকে দশে কত দেবেন? ডিভোর্স নিয়েও মুখ খুললেন অভিনেত্রী

অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীরা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য নানা সময় চর্চায় এসেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে ব্যতিক্রম রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও দিনই তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সংবাদের শিরোনামে আসেননি। সিনেমা করা বন্ধ করেছেন বহুদিন আগে। কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি বিন্দু মাত্র। সৌজন্যে দিদি নো ওয়ান। আর রচনার জীবনও দিদি নো ওয়ানের দিদিদের থেকে কোনো অংশে কম না।

রচনার জীবনেও নানা ওঠাপরা এসেছে। তবে সে সব খবর তিনি আসতে দেননি প্রকাশ্যে। বহু বছর আগে ‘অপুর সংসার’ নামের একটি টক শো-তে আসেন রচনা। যেটির সঞ্চালক ছিলেন শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি তার জীবনের একাধিক না জানা কথা জানান শ্বাশতকে।

তিনি একা হাতে সামলে নিয়েছেন। নিজের ছেলেকে সঙ্গে তার সংসারও। তিনি এখনআ এই দু জায়গাতেই যথেষ্ট সময় দেন। কারণ তার স্বামী তাদের সঙ্গে থাকেন না, থাকেন অন্য কোথাও। এমনটাই শ্বাশতকে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অনেক সাক্ষাৎকারে রচনা জানিয়েছেন তিনি বিবাহিত। কিন্তু তার দাম্পত্য জীবন যে সুখী তা কখনো বলেননি অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানান তিনি আলাদা থাকলেও তার ডিভোর্স হয় নি। আর এটা তার আর তার স্বামীর মিলিত সিদ্ধান্ত। যেটি তারা তার ছেলের জন্য নিয়েছিলেন। যাতে ছেলে কখনো কোনো মানসিক দ্বন্দ্বে না ভোগে। সে একসাথে বাবা মায়ের ভালোবাসা পায়। তাই ছেলের জীবনের যেকোনো বিশেষ মুহূর্তেও তারা একসঙ্গেই থাকেন এখনো।

গৃহিণী হিসেবে তিনি কেমন? রচনা বলেন, একদমই ভালো না। কারণ তথাকথিত গৃহিণী হওয়ার যে গুন থাকা দরকার তার একটাও নেই তার মধ্যে। তাই নিজেকে এই ব্যাপারে দশে শূন্য দেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি যে ভীষণ ভালো মা সেটা মনে করেন না। কারণ মা হিসেবে যত টা সময় দেওয়া দরকার ততটা হয়তো তিনি দিয়ে উঠতে পারেননি। তাই নিজেকে নম্বর দিতে হলে তিনি দশে সাত দেবেন।

রচনা আরও জানিয়েছিলেন যে, যারা অভিনয় করেন তাদের সেই একই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত। কারণ একই পেশায় থাকলে তবে দুজন মানুষ দুজনের কাজের গুরুত্ব বুঝবেন। আর অভিনয়টা অন্যান্য পেশার থেকে একদমই আলাদা।