বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এখন কান পাতলে শুধুই শোনা যাচ্ছে ‘টাপা টিনি’। এখন ‘টাপা টিনি’ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে। এককথায় সুপারহিট ‘টাপা টিনি’। এবার বাংলা চলচ্চিত্র ‘বেলাশুরু’র এই ভাইরাল গানে মজেছেন রানাঘাটের জনপ্রিয় ভাইরাল গায়িকা রানু মণ্ডল। সম্প্রতি রানু মণ্ডলের গলায় শোনা গেল ‘টাপা টিনি’ গান।
রানাঘাটের রানু মণ্ডলের উত্তরণের গল্প রীতিমতো চমকপ্রদ। রানাঘাটের স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে গান করে অর্থ উপার্জন করা রানু মণ্ডলের বলিউড যাত্রা ছিল একেবারে স্বপ্নের মতো। রানাঘাটের স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ভাইরাল হওয়ার পর, বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাকও করেন তিনি। এরপর অনেকেই এটা ভেবে নিশ্চিত ছিলেন যে, এবার রানুর প্রতি ভাগ্য দেবতা সদা সদয় থাকবেন। আর হয়ত স্টেশনে বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করে খেতে হবে না।
কিন্তু খ্যাতির বিড়ম্বনাও তাঁকে সইতে হয়েছে। হিমেশের সঙ্গে ‘তেরি মেরি’ গান গেয়ে যেমন ভাইরাল হয়েছেন, তেমনই সেই গান নিয়ে তাঁকে কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে। বছর তিন আগে রানাঘাট স্টেশনে বসা এক ভবঘুরে মহিলার গলায় লতা মঙ্গেশকরের হিট গানের ভিডিও তাঁকে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। মুহূর্তের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে যান রানু মণ্ডল।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই আকাশচুম্বী প্রচার তাঁকে ক্ষণিকের সেলিব্রিটি করে তুললেও, আদতে তাঁকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। অন্নের সংস্থান তো হয়নি উল্টে আরও সমস্যার মুখোমুখি করেছে। কারণ এই খ্যাতি নিয়ে আর তিনি স্টেশনে বসে হাত পাততে পারবেন না। তিনি যে ‘ভাইরাল’ রানু মণ্ডল। চারদিক থেকে শুধুই অনুরোধ গান গাওয়ার। কিছু মানুষ আবার এও বলেন যে, ভালই ছিল, জনপ্রিয় হতে গিয়ে আখেরে বিপদই হল।
রানুর ঘরের পলেস্তারা খসা দেওয়ালে ঝুলছে কাঠের যিশুখ্রিস্ট। সেদিকে তাকিয়ে আপন মনে রাণু বলেন, ‘উনিই মালিক। আমাকে বিশ্বের কাছে চিনিয়েছেন উনি। ওঁর ভরসাতেই রয়েছি।’ যা বলেন, তাঁর অর্ধেকটাই অভিযোগে ভরা। সে তালিকায় রয়েছে স্বপ্নের নগরী মুম্বইও। যে শহরে গান গেয়ে ‘জনপ্রিয়’ হয়েছেন চোখের পলক ফেলতেই। প্রশ্ন সেই মুম্বই থেকে কী পেলেন?
আপনার মতামত লিখুন :