শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি! অবশেষে মাদককাণ্ডে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট NCB-র

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২, ০৩:৩২ পিএম | আপডেট: মে ২৭, ২০২২, ০৯:৪৩ পিএম

কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি! অবশেষে মাদককাণ্ডে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট NCB-র
কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি! অবশেষে মাদককাণ্ডে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট NCB-র

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে মাদককাণ্ডে বলিউড বাদশা শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান NCB-র পক্ষ থেকে ক্লিনচিট পেলেন। শুধু আরিয়ান খানই নয়, আরিয়ান-সহ ৬ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। 

৬ হাজার পাতার চার্জশিটে নাম নেই আরিয়ান খানের। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক-যোগের কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল ক্রুজে অভিযান চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই মাদক যোগের অভিযোগে আরিয়ান খান-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একাধিক শুনানি চলে আদালতে। আর্থার রোডের জেলে ঠাই হয় আরিয়ানের। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে, গত বছরের ২৮ অক্টোবর জামিন পান শাহরুখ-পুত্র। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে ৩০ অক্টোবর জেল থেকে ছাড়া পান আরিয়ান। 

মাদককাণ্ডে ৬ হাজার পাতার চার্জশিটে ফাইল করেছে এনসিবি। এই চার্জশিটে মোট ১৪ জনের নাম রয়েছে। এই তালিকায় আরিয়ান-সহ মোট ৬ জনের নাম রয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনসিবি’র উচ্চপদস্থ আধিকারিক সঞ্জয় কুমার সিং একটি বিবৃতি জারি করেন। তাতে বলা হয় যে, ‘আরিয়ান এবং মোহক ছাড়া সকলের কাছ থেকেই মাদক উদ্ধার হয়েছিল।’এ ছাড়াও তিনি দাবি করেছেন যে, আরিয়ান খান ও বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে প্রথমে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, শাহরুখ-পুত্র নিয়মিত মাদক সেবন এবং তা সরবরাহ করেন। কিন্তু আদালতে তা অস্বীকার করেন আরিয়ান খান এবং তাঁর আইনজীবী। এদিকে, শুক্রবার যে ৬ হাজার টাকার চার্জশিট আদালতে জমা পড়ল, নাম নেই আরিয়ানের।

ওই মামলার তদন্তে গঠন করা হয়েছিল এনসিবি’র স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। সেই টিমের তদন্তেই বলা হয়েছে যে, আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্য প্রমাণ নেই যার থেকে প্রমাণ হতে পারে যে, কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। ফলে এনসিবি যে অভিযোগ এনেছিল আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে তা সম্পূর্ণ ভুল। 

পাশাপাশি এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সিট-এর তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, আরিয়ান খানের কাছে কোনও মাদক ছিলই না। এমনকি তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করারও কোনও কারণ ছিল না। এছাড়া আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেও এমন কিছুই পাওয়া যায়নি, যার ভিত্তিতে এমনটা দাবি করা যায় যে, তাঁর কোনও আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ ছিল আগে থেকেই। এখানেই শেষ নয়, এনসিবি’র তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। কেন আরিয়ানের জেরার কোনও ভিডিয়ো ডকুমেন্টেশন নেই, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।