জো বাইডেন সরকারের পতন ঘটিয়ে ফের একবার আমেরিকার গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার জনগণ ফের ভরসা দেখিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর। ট্রাম্পও এক নতুন আমেরিকা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি বোধহয় আমেরিকার ইতিহাসে সবথেকে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট।
বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক তাকে ঘিরে রেখেছে। যার মধ্যে বহু বিতর্ক আবার ভীষণ রঙিন। তবে সে যাই হোক, দ্বিতীয়বার মসনদ দখল করে দেখিয়েছেন তো তিনি! কিন্তু এবার নতুন গদিতে বসেও পুরনো ডেস্ক বাতিল করতে হলো তাকে। আর তাতে ফের একবার শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বড়লোক আমেরিকার ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। তার প্রতিপত্তি আকাশ ছোঁয়া। তবে এবার সেই ইলন মাস্কের ছেলে এমন এক কান্ড ঘটিয়েছেন যাতে বেশি বিরক্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও বর্তমানে ইলন মাস্কের কথা অনুযায়ীই দেশ পরিচালনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। আর সেখানেই এক অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছেন ইলন মাস্কের চার বছরের ছেলে এক্স। কি কান্ড ঘটিয়েছে চার বছরের খুদে? আসলে ছোট্ট ওই খুদে নাক খুঁটতে খুঁটতে তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেবিল এবং দেওয়ালে সেই হাত লাগিয়ে দেয়।
এমনিতেই ভীষণ রকমের পিটপিটে ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরিষ্কার তার না পছন্দ। কোথাও কিছু অপরিষ্কার থাকলেই তার অস্বস্তি হতে থাকে। এই কথা সবার অবগত। আর ইলন মাস্কের চার বছরের খুদে এই কান্ড করতেই তিনি সরিয়ে দিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী সেই ডেস্ক। পরিবর্তিত হয়ে এসেছে অন্য এক ডেস্ক। যদিও জানা গেছে সেটি নাকি সাময়িক পরিবর্তন। শীঘ্রই মেরামতি করে ফিরিয়ে আনা হবে ঐতিহ্যবাহী রেসোলিউট টেবিল।
কেন এই টেবিল এতটা ঐতিহ্যবাহী? ১৮৮০ সালে কুইন ভিক্টোরিয়া আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাদারফোর্ড বি. হেস-কে এই টেবিল উপহার দিয়েছিলেন। জানা যায়, ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর পরিত্যক্ত এইচএমএস রেসোলিউট জাহাজের কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই টেবিল। সুদীর্ঘ দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার সরকারের সঙ্গী এই টেবিল। এই টেবিল এখন মেরামতির জন্য গেছে। তবে অনেকেই মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে ইলন মাস্কের ছেলের নাক খোঁটা কান্ড।