দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি গদিতে বসার আগেই সরকার বদলেছে বাংলাদেশের। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। গদিতে বসেছে ইউনুস সরকার। ট্রাম্পের আমেরিকার মসনদে বসার পরেই সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়ত তিনি শায়েস্তা করবেন বাংলাদেশকে।
কারণ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর বাড়তে থাকা অত্যাচার তিনি আর সহ্য করবেন না। আসলে এমনটাই যে তিনি বলেছিলেন। আর তাই আশায় বুক বেঁধে সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়ত যুগান্তকারী কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই গুড়ে বালি। আপাতত বাংলাদেশ সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত তিনি ন্যস্ত করেছেন তার প্রিয় বন্ধু তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর।
এই মুহূর্তে আমেরিকা সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওয়াশিংটনে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে দুই দেশের প্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এবং সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত শেষে হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে আপাতত বাংলাদেশ সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মোদি। আমেরিকা তাতে মাথা গলাবে না। এই বিষয়ে ট্রাম্প জানিয়ে দেন, আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। আর তাই বাংলাদেশের সমস্যা সমাধান করার বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী মোদির ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের যা ঘটে চলেছে সেই নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন মোদি। এবং এই বিষয়ে তিনি পুরোটাই অবগত করেছেন ট্রাম্পকে। উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই, ট্রাম্প বাংলাদেশকে সমস্ত সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কয়েকশো কোটি টাকা সাহায্য করে আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে চাপ বাড়ে ইউনূস সরকারের উপর। এছাড়া অন্যান্য সমস্ত খাতে অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেয় আমেরিকা।