শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ন্যক্কারজনক ঘটনা! মুম্বইয়ে নাবালিকাকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ সৎ বাবা ও মামার, গ্রেফতার অভিযুক্তরা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২, ০৫:২৯ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২২, ১১:২৯ পিএম

ন্যক্কারজনক ঘটনা! মুম্বইয়ে নাবালিকাকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ সৎ বাবা ও মামার, গ্রেফতার অভিযুক্তরা
ন্যক্কারজনক ঘটনা! মুম্বইয়ে নাবালিকাকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ সৎ বাবা ও মামার, গ্রেফতার অভিযুক্তরা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও নাবালিকার উপরে পাশবিক অত্যাচার। এবার ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে। ১৩ বছরের নাবালিকাকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার সৎ বাবা এবং মামার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে ওয়ারলি থানার পুলিশ এবং দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই ঘটনার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। স্থানীয় এলাকায় টহলদারি চালানোর সময় নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখেন ওয়ারলি থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সন্দেহ হওয়ায়, তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালিকাকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন সে নির্যাতনের কারণে আতঙ্কিত অবস্থায় ছিল। এরপর ওই নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ বুঝতে পারে, তার সঙ্গে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

থানায় নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে প্রশ্ন করতেই দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তাঁর উপরে হওয়া যৌন অত্যাচারের কথা জানতে পারে পুলিশ। ঘটনার বিবরণ শুনে, থানার মহিলা পুলিশ কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। থানার মহিলা কর্মীদের জেরার মুখে ওই নাবালিকা তাঁদের জানায় যে, তার সৎ বাবা এবং মামা তাকে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ধর্ষণ করছে। সবটা শোনার পরে, পুলিশ তাকে বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালে পাঠিয়েছিল, সেখানেই নির্যাতিতা নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় এবং ওয়ারলি থানার পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে।

জানা গিয়েছে যে, সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দুই অভিযুক্তই নাবালিকার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ায় কারণে পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই নাবালিকাকে চাপ দিয়ে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা থেকে তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও ভাবছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়েরের পরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ওয়ারলি থানার পুলিশ এবং শুক্রবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওয়ারলি থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক অনিল কোলি এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।