তিলোত্তমা কান্ডের বিচারে সন্তুষ্ট হয়নি বাংলা। বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়নি আরজিকর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ধর্ষণ করে মৃত্যু। তবে এবার এক বড় পদক্ষেপ নিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট! মাত্র সাত মাসের শিশুকে ধর্ষণ করার অপরাধ গণ্য হলো বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ হিসেবে।
৪০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। বড়তলায় পথশিশুকে ধর্ষণকাণ্ডে এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তার ঝুপড়ি থেকে ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই পথশিশুকে। ২০২৪ সালের ৩০শে নভেম্বর, বড়তলা থানা এলাকার এক বাসিন্দা দেখেন তার বাড়ির সামনে ফুটপাথে শুয়ে তারস্বরে কাঁদছে এক ছোট্ট শিশু। আশেপাশে কেউ নেই। তিনি খবর দেন পুলিশে।
এরপর পুলিশে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে জানা যায় এক ফুটবাতবাসী দম্পতিও তাদের শিশু কন্যাকে খুঁজছে। পুলিশ হয়ে শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আরজিকর হাসপাতালে। এখানেই দেখা যায়, ওই শিশুর যৌনাঙ্গে একাধিক ক্ষত রয়েছে শরীরও রয়েছে বিভিন্ন রকম আঘাত। এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই শিশু।
এই ঘটনা ঘটার পর ওই ঘৃণ্য অপরাধীকে খোঁজার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে কলকাতা পুলিশ, বড়তলা পুলিশ, গোয়েন্দা দপ্তর। টানা দু’তিন দিন ধরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর গুগল আর্থ ম্যাপিং ব্যবহার করে ভবঘুরে রাজীব ঘোষ ওরফে গোবরাকে চিহ্নিত করা হয়। যদিও ততক্ষণ সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ঝাড়গ্রামের একটি হোটেলে গিয়ে সে কাজও নিয়ে নিয়েছিল।
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থেকে ওই অপরাধীকে ধরে পুলিশ। ৪ ই ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়ে তাকে। এই ঘটনায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ২৪ জন। এই ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। গতকাল আদালত রাজিবকে এই জঘন্য ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে। আর আজ তা বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় আদালতের চোখে আর যার জন্য ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছে।