মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার চাকার। এই আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে সভ্যতা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে শুরু করে। যাতায়াত ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষের সবথেকে বড় ভরসার জায়গা রেল পরিবহন। নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সর্বসাধারণের জন্য এই রেল ব্যবস্থা ভারতবর্ষের যাতায়াত ব্যবস্থাকে অনেক বেশি সহজতর করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯২৫ সালে ৩রা ফেব্রুয়ারী দেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুত চালিত ট্রেন চালু করা হয়। এই সময় বিদ্যুৎ চালিত লোকাল ট্রেন চলার সূচনা সময় থেকে ট্রেনের বিবর্তনের বিভিন্ন ছবি ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, ওই দিন হাওড়া স্টেশনে ঐতিহাসিক বড় ঘড়ির নীচে শতবর্ষের লোকাল ট্রেনের বিভিন্ন ছবির প্রদর্শন করা হয়।
বিদ্যুৎ চালিত ইমু ট্রেনের শতবর্ষ স্মরণ করে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশন থেকে বর্ধমান পর্যন্ত সুসজ্জিত লোকাল ট্রেন চালানো হয়। যা দেখতে ভিড় হয়ে স্টেশনে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন হাওড়া স্টেশনে থেকে প্রায় ১২৭ টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ লক্ষ যাত্রী লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করে। অর্থাৎ যাত্রী পরিষেবায় লোকাল ট্রেনের অবদান অনস্বীকার্য।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আগে দেশে যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্ব ছিল তখনই প্রথমবারের মতো ট্রেন চালু করা হয়। উল্লেখ্য, ভারতবর্ষের প্রথম রেলপথ হচ্ছে মুম্বই থেকে থানে। এরপর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেল পরিষেবায় আধুনিকীকরণ হয়। এরপর অবশ্য যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী ভারতবর্ষে বাড়তে ট্রেনের সংখ্যা।