শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ! এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২, ১০:৩৬ পিএম | আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২২, ০৪:৩৬ এএম

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ! এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম
মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ! এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাড়তে শুরু করেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দীর্ঘ তিন মাস পর চলতি সপ্তাহের সোমবারই বাড়ে পেট্রোল-ডিজেল-সহ রান্নার গ্যাসের দাম। মঙ্গলবার থেকেই নয়া বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবারই ফের বাড়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এই বর্ধিত দাম বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বুধবার সকাল ৬ টা থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হয়।

এরপর আবারও বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাড়ল জ্বালানীর দাম। মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ আরও চওড়া হচ্ছে। পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৮৪ পয়সা আর ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮০ পয়সা। নতুন দাম বাড়ার পর, পেট্রোলের নতুন দাম হয়েছে লিটার প্রতি ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা। আগে দাম ছিল ১০৬ টাকা ৩৪ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে ৯২ টাকা ২২ পয়সা। আগামিকাল সকাল থেকেই এই নয়া দাম কার্যকর হতে চলেছে। মঙ্গলবারের পর, এদিন ফের জ্বালানীর দাম বাড়ল। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১ সালের শেষ দিকে আকাশছোঁয়া পেট্রোল-ডিজেলের দামের জের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীপাবলির উপহার হিসেবে পেট্রোলে লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল ১০ টাকা শুল্ক কমায়। এর ফলে একধাক্কায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম অনেকটাই কমে যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পথ অনুসরণ করে কয়েকটি বিজেপিশাসিত রাজ্যও কর কমায়। এতে চাপে পড়ে কয়েকটি অবিজেপিশাসিত রাজ্যও করের বোঝা কমাতে বাধ্য হয়। এতে সাধারণ মানুষের কিছুটা সুবিধা হয়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম অনেকটা কমে। 

যদিও বাংলার তৃণমূলশাসিত সরকার পেট্রোল-ডিজেলের উপর কর কমায়নি। এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। যার প্রভাব ভারতেও পড়তে শুরু করেছে। এই কারণেই বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে তেল সংস্থাগুলি বলছে, অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়াতে তারা বাধ্য হচ্ছে। এদিকে, দেশের সব জায়গাতে প্রতি লিটারে ১০০ টাকার বেশি দামে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, আগামী দিনেও এই দাম বাড়ার ধারা জারি থাকবে। এর জেরে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে চলেছে। তবে, ইচ্ছে করলে সরকার কর কমিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে মানুষকে।