দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী প্রত্যেক পরিবারের কাছে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিতে ২০১৬ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি স্পর্শ করতে চলেছে। এখন দেশের অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার। রান্নার গ্যাস কানেকশন দ্রুত দেশের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প ছাড়াও কানেকশন নেওয়ার ক্ষেত্রকে অনেক সহজ করা হয়েছে। এর ফলেই ধীরে ধীরে দেশে বাড়ছে গ্যাস কানেকশনের সংখ্যা।
তবে অনেকেই জানেন না এই গ্যাস কানেকশন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৫০ লক্ষ টাকার একটি বীমা সরকারের তরফ থেকে উপভোক্তাদের দেওয়া হয়। এমনকি এই বীমা গ্রাহকরা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনরকম প্রিমিয়াম দিতে হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে এই ৫০ লক্ষ টাকার বীমা পাওয়া যায়? গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেই এই বীমার টাকা পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যখন নতুন গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়া হচ্ছে সেই সময় সেই গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ দেখে নেওয়া। কারণ সিলিন্ডারের মেয়াদের উপর নির্ভর করে এই বিমা। গ্যাস কানেকশন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাজনিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৪০ লক্ষ টাকা বীমা দেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডার বা গ্যাস কানেকশন সংক্রান্ত দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার আত্মীয় এই বিমার পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করতে পারেন। এই বিমার টাকা দাবি করার ক্ষেত্রে কোন রকম প্রিমিয়াম বহন করতে হয় না গ্রাহকদের।
নিয়ম অনুযায়ী দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে নিকটবর্তী ডিস্ট্রিবিউটর এবং থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে। মৃত ব্যক্তির জন্য দুর্ঘটনার টাকা দাবি করতে এফআইআর-এর প্রতিলিপির পাশাপাশি মেডিকেল রসিদ, হাসপাতালের বিল, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এবং মৃত্যু শংসাপত্রও প্রয়োজন। বিমার টাকার দাবির জানাতে আপনার সিলিন্ডার এবং উনুনের নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত। এছাড়াও সিলিন্ডারের পাইপ, চুলা এবং রেগুলেটরে আইএসআই মার্ক থাকতে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :